রাজধানী প্রতিনিধি:করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কৃষিবিদ প্রকৌশলী এস.এম.ফজলুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকাল ১১.৩০ টায় রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বৎসর। তিনি স্ত্রী, বন্ধুবান্ধব ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের লাশ আজ ২ জুলাই রাতে নিজ জেলা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জানাযা শেষে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন মরহুমের বন্ধু-বান্ধবরা। বা়ংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭-৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ প্রকৌশলী এস.এম.ফজলুল হক কুষ্টিয়ার বিআরবি কেবলস্ এ কর্মরত ছিলেন।
মরহুম ফজলুল হক বাকৃবি ক্যাম্পাসে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে খুবই সুপরিচিত ছিলেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মিছিলের অগ্রভাগে থাকতেন তিনি। বাকসুতে (রফিক-আওলাদ প্যানেল) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্র সংসদ (১৯৮৯-৯০)-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর আনিস-টিপু পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাক্তন ছাত্র কয়েকদিন আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ ইন্তেকাল করেন।
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কৃষিবিদ অঙ্গনে এক শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। বা়ংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭-৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ লিয়াকত আলী জুয়েল বলেন, তাঁর এই বন্ধুটি ছিল অত্যন্ত অমায়িক, বন্ধুবৎসল। ক্যাম্পাস জীবনে একজন সফল ক্রীড়াবিদ হিসেবে সকলের মাঝে সুপরিচিত ছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম (প্রিন্স)। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রূহের মাগফেরাৎ কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবরে সকলেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন।-আমীন