ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান: লেবু গাছের সাইট্রাস গ্রিনিং (Citrus greening) রোগটি ক্যানডিডেটাস লিবারিব্যাকটার এসিয়াটিকাস (Candidatus Liberibacter asiaticus)-নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়ে থাকে। এশিয়ান সাইট্রাস সাইলিড (Diaphorina citri) দ্বারা এ রোগ বিস্তার লাভ করে। কলম এবং যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও এ রোগ বিস্তার লাভ করে থাকে।
রোগের লক্ষণ
●সব ধরণের লেবু জাতীয় ফসলেই হয়ে থাকে।
●ডগার পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয়।
●শিরা ও উপশিরাগুলো ক্রমশঃ গাঢ় সবুজ হতে থাকে, যার জন্য রোগের নাম সাইট্রাস গ্রিনিং হয়েছে।
●পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
●শিরা দূর্বল ও পাতা কুঁকড়িয়ে ডাই-ব্যাক-এর সৃষ্টি করে।
●পাতা ও গাছ খর্বাকৃতির হয়।
●ফলেও হলুদ রং-এর দাগ দেখা যায়।
●আক্রান্ত গাছের ফল ছোট হয়।
●ফলে রসের পরিমান কমে যায়।
●ফল স্বাদে তিতাযুক্ত হয়।
রোগের প্রতিকার:
●নীরোগ বীজতলার চারা ব্যবহার করতে হবে।
●বাগান পরিস্কার পরিচছন্ন রাখতে হবে।
●আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়ে ফেলতে হবে।
●Psyliid bug দমনের জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক (যেমন-অ্যাডমায়ার বা ইমিটাফ) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
●ট্রাই ব্যাসিক কপার সালফেট গ্রুপের ঔষধ (যেমন-কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।
●স্ট্রেপ্টোমাইসিন সালফেট + টেট্রাসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক (যেমন-ক্রোসিন-এজি ১০ এসপি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৮ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার জমিতে গাছে স্প্রে করতে হবে।
বি:দ্র: ক্রোসিন-এজি ১০ এসপি ও কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি ঔষধ দুইটি পর্যায়ক্রমে একটা ব্যবহার করার পর আরেকটি ব্যবহার করতে হবে।
==================
লেখক:উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব)
মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই
শিবগঞ্জ, বগুড়া।
মোবাইলঃ ০১৯১১-৭৬২৯৭৮
ইমেইলঃ This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.