সমকালীন ডেস্ক:মহান স্বাধীনতা পর বাংলাদেশের যে কয়েকটি সেক্টরে সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কৃষি সেক্টরের সাফল্য ঈর্ষণীয় বলে উল্লেখ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ আবদুল মুঈদ। ৬ জুলাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুর অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি চলতি মৌসুমে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনপূর্বক নির্বিঘ্নে আমন আবাদে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরণের বিভাগীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি উপস্থিত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের বক্তব্য শোনেন এবং মাঠের বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম, সমস্যা ও কার্যক্রমভিত্তিক চাহিদার সমাধানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তিসমূহের মাঠ পর্যায়ে পদচারণা তথা দৃশ্যমান হওয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। এজন্য চলতি আমন মৌসুমে দৃশ্যমান প্রযুক্তি সমূহ যেমন-আদর্শ বীজতলা তৈরি, সারিতে ধানের চারা রোপন, ১০ সারি পর পর ১ সারি ফাঁকা রাখা (লোগোভো পদ্ধতি), উত্তর-দক্ষিণে সারি করে রোপন করা, ধান ক্ষেতে ধৈঞ্চা ও কঞ্চি/ডাল পুঁতে পার্চিং করার বিষয়ে কৃষকগণকে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা ও ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে উদ্যোগী হতে পরামর্শ দেন। বন্যা কবলিত এলাকায় যেন চারার সংকট না হয়, সেজন্য নাবীতে আমনের চারা রোপনের উদ্দেশ্যে ভাসমান এবং বন্যামুক্ত উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরি ও তদারকি জোরদার করার নির্দেশনা দেন।
উক্ত মত বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার উপ পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, অঞ্চল অফিসের উপপরিচালক ও উদ্যান বিশেষজ্ঞ এবং রংপুর জেলার সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্তকর্তাগণ।
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শাহ আলম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রংপুর কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবু সায়েম।