কানিজ ফাতেমা:চালের আটার রুটি দিয়ে গোশত খাওয়ার মজাই আলাদা। কোরবানীর ঈদে অনেকেই ঝাল ঝাল গরুর গোশতের সাথে চালের আটার রুটি খেতে পছন্দ করেন। তাছাড়া যে জিনিস গুলো সচরাচর পাওয়া যায় না সে জিনিসের প্রতি আমাদের আগ্রহ সব সময় বেশি থাকে চালের আটার রুটির ক্ষেত্রেও তাই।
তবে চালের আটার রুটি তৈরী সহজ মনে হলেও যদি এটি সঠিকভাবে না করা যায় তাহলে খাওয়ার মজা মেলে না। সেজন্য চালের আটার রুটি করার কিছু টিপস।
প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে ২ কাপ পানি দিন। যতটুকু চালের গুড়া নিবেন তার দ্বিগুণ পানি দিন। এসময় চুলার আচটি একটু বাড়ীয়ে নিতে হবে। পরিমানমত লবণ(১/২ চা চামচ) দিয়ে নেড়ে নিন। পানিতে বলক চলে এলে দেড় কাপ চালের গুড়া একটু উপর থেকে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মনে রাখবেন চালের আটা পানিতে নাড়া চাড়া করে ঢেকে দিবেন না। গ্যাসের চুলায় হালকা আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল করতে হবেএসময় ঢাকনা খোলা যাবে না।
পাঁচ মিনিট পর ঢাকনাটি সরিয়ে নিয়ে কাঠের হাতা দিয়ে একসঙ্গে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিন। মনে রাখতে হবে চালের আটার রুটি সফট করে সফট্ করে নিতে চাইলে চালের কাইটিকেও সফট্ করে নিতে হবে। এজন্য যতটুকু চালের গুড়া নিবেন তার চেয়ে পানির পরিমাণ সামান্য বেশী হবে। ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে চালের আটার মিশ্রণটি ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
১০ মিনিট পর একটি ছড়ানো প্লেটে মিশ্রণটিকে ঢেলে খামির তৈরি করুন এবং একটি হালকা ভেজানো কিচেন টিস্যু দিয়ে আলাদা একটি প্লেটে ঢেকে রাখুন। এরপর রুটি বেলার পিড়িতে হালকা চালের গুড়ো ছড়িয়ে মোটামুটি পাতলা করে বেলা হয়ে গেলে দুই হাত দিয়ে রুটিটি ঝেড়ে নিন। রুটিটি বানিয়ে একটি সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন।
সবশেষে চুলায় বেশী আঁচে তাওয়া দিয়ে গরম করে ভেঙে নিন। রুটিটি সাদা সাদা অবস্থায় ছেকে নিন। একটা রুটি হয়ে গেলে তাওয়া পরিস্কার করে নিন। গরম গরম রুটি ঢেকে রাখবেন না।
ব্যস হয়ে হেল নরম নরম গরম চালের আটার রুটি। সকালের নাস্তায় ঝাল গরুর গোশতের সাথে উপভোগ করুন চালের আটার রুটি।