ইসলামিক ডেস্ক:বিনয়ী, নম্র চরিত্রের অধিকারী মানুষকে সকলেই পছন্দ করেন। এ গুণগুলো মানুষের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে। একজন কঠোর মনের মানুষও তাদের পছন্দ করেন। ইসলাম বিনয় ও নম্রতাকে মুমিনের অপরিহার্য গুণ বিবেচনা করে। কারণ একজন মানুষের মধ্যে যতক্ষণ না বিনয় থাকবে, ততক্ষণ সে আল্লাহর গোলামি করতে পারবে না।
স্বাভাবিক আচরণে যেমন বিনয় থাকতে হয়, তেমনি ইবাদতের মধ্যেও বিনয় না থাকলে সে ইবাদত ফলপ্রসূ হয় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, যারা অহঙ্কারবশত আমার গোলামি থেকে দূরে থাকে, অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে (সুরা মুমিন, আয়াত ৬০)। সুরা মুমিনুনে আল্লাহ সফল মুমিনের কথা বলতে গিয়ে প্রথমে বলেছেন, তারা নিজেদের সালাতে বিনয়ী থাকে।
সুরা ফোরকানের ৬৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর দয়াময়ের বান্দা তো তারাই, যারা জমিনে বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং মূর্খদের সঙ্গে কথা বলার সময় (বিতর্ক না করে) সালাম বলে বিদায় নেয়। আল্লাহ আরও বলেন, জমিনে অহঙ্কারের সঙ্গে চলো না। তুমি না পারবে জমিন ফেড়ে নিচে নামতে, আর না সক্ষম হবে পাহাড়ের মতো উঁচু হতে (সুরা ইসরা)।
এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, বিনয় ও নম্রতা আল্লাহর বিশেষ দান ও অনুগ্রহ। আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করতে চান, তাকে কোমল আচরণ দান করেন।