ইসলামিক ডেস্ক:সৎ ও আদর্শ জীবন গঠনে নৈতিকতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর মানবতার ধর্ম ইসলামে নৈতিকতার কথা বেশ শক্তভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘শপথ মানুষের এবং তার, যিনি তাকে সুঠাম করেছেন। অতঃপর তাকে তার সৎকর্ম ও অসৎকর্ম সম্পর্কে জ্ঞানদান করেছেন। সেই সফলকাম হবে যে নিজকে পবিত্র করবে এবং সে-ই ব্যর্থ হবে যে নিজকে কলুষাচ্ছন্ন করবে।’ (সুরা শামস, আয়াত ৭-১০)। বর্তমানে আমাদের সমাজে এই নৈতিকতার বিষয়টির অভাব যেন দিনদিন প্রকট হচ্ছে। পবিত্র কোরানে অন্যায়-অশ্লীলতা, জুলুম ও খোদাদ্রোহিতা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
নবী করিম (সা.) ছিলেন উন্নত ও উত্তম নৈতিকতার এক অনুপম আদর্শ। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর ব্যাপারে বলেন ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।’ (সুরা কলম. আয়াত-৪)। নবী করিম (সা.)-এর নৈতিকতার উল্লেখযোগ্য মৌলিক গুণাবলি ছিল ন্যায়বিচার, ইনসাফ, আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়, বিশ্বস্ততা, ওয়াদা পালন, সততা, কর্তব্যবোধ, শালীনতা, বদান্যতা, সঠিক পন্থা গ্রহণ, ন্যায়পরায়ণতা, প্রয়োজনে প্রতিশোধ গ্রহণ, উদারতা, মধ্যপন্থা প্রভৃতি। এ মহৎ কাজগুলো শুধু নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেই তিনি ক্ষান্ত হননি বরং নৈতিক মূল্যবোধ ও নৈতিক আচরণগুলোর প্রতি যে উৎসাহ এবং প্রেরণা দিয়েছেন তা সত্যিই অনন্য।
আসুন আমারাও মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশিত পথে এবং আমাদের প্রিয় নবী করিম (সা.) আদর্শ মতো জীবন গড়ি; নৈতিকতাকে সুদৃঢ় করি।-মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের নেক নিয়্যত কবুল করুন-আমিন