ইসলামিক ডেস্ক:পিতা-মাতা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আদরের সন্তানকে মানুষ করেন। কাজেই তাদের হক আদায় করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। অথচ বর্তমানে সমাজে অনেক সময় দেখা যায় সন্তানেরা বড় হয়ে বাবা-মার কস্টের কথা ভুলে যায়। এত কষ্ট করার পর সন্তান বড় হয়ে যদি পিতা-মাতার অবাধ্য হয়, পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয় তাহলে তাদের দুঃখের অন্ত থাকে না।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, 'তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কর না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয় তবে তাদের উহ্ শব্দটিও বল না (অর্থাৎ তারা কষ্ট পেতে পারে এমন কোনো শব্দ তাদের সামনে উচ্চারণ করা যাবে না)। তাদের ধমক দিও না। তাদের সঙ্গে নরম কথা বল। তাদের সামনে নত হয়ে বস। এবং তাদের জন্য এই দোয়া কর, 'হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনি দয়া করুন, যেমনি তারা শিশুকালে আমার প্রতি দয়া করেছেন।' সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৩-২৪।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি সর্বাগ্রে কার সঙ্গে সদাচরণ করব?
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমার মায়ের সঙ্গে।
লোকটি প্রশ্ন করল, তারপর? উত্তর এলো তোমার মায়ের।
লোকটি আবার জানতে চাইল অতঃপর কে?
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবারও জবাব দিলেন তোমার মায়ের।
ওই লোক চতুর্থবার একই প্রশ্ন করলে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেন, তোমার পিতা।` (বুখারি ও মুসলিম)
কাজেই পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে পিতা-মাতার প্রতি কেমন আচরন করা প্রয়োজন তা স্পষ্টতই উল্লেখিত আছে। আসুন আমরা আমাদের পিতা-মাতার প্রতি বিনয়ী আচরণ করি; বিশেষ করে যখন তারা বৃদ্ধাবস্থায় চলে আসে।। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে পিতা-মাতার হক আদায় করার তাওফিক দিন-আমিন।