তসলিম রেজা:সফরের শুরুর দিন, বড় ভাই আমাদের ওমরাহ শেষ করায়ে উনার বাসা জেদ্দায় চলে যান এবং অফিস ছুটিরদিন শুক্রবার এসে আমাদের সাথে জুম্মা পড়ে তায়েফ শহরে দেখায়ে উনার বাসায় জেদ্দা নিয়ে যাবেন বলে ঢাকায় পূর্বেই জানিয়েছিলন। আমাদের সফরের ৪র্থ দিন, শুক্রবার, ভাই কাছে কোথাও গাড়ী পার্ক করে, ভাবীসহ একটু দেরীতে এলেও, আমরা ভাগ্যক্রমে কাবা শরীফের মুল অংশে ঢুকতে পারি।
আমরা সব সময়েই বাদশাহ ফাহাদ গেট দিয়ে কাবা শরীফের ভিতর ঢুকতাম। এদিন, শুক্রবার, একেবারে কাবা শরীফের নিকটে যেয়ে, ভাই সকলকে জমজম পানি খাওয়ায়ে বললেন, কে কে এখন আমার সাথে কাবা শরীফ তাওয়াফ করবে (৭ পাক)? আমরা আগেরদিন ওমরাহ (নফল) করে খুবই পরিশ্রান্ত আর তখন দুপুর সাড়ে ১১ টা বাজে, প্রচন্ড রোদ, আমি একবাক্যে বললাম, আমি পারবো না। ভাই হতভম্ব হয়ে গেলেন, বললেন, আমি কিন্তু তোর ভাবিকে নিয়ে তওয়াফ করবোই। এবার ছোট ছেলের অভিমত জানতে চাইলেন, সে বললো, চাচ্চু, আমি পারবো। ক্ষীন স্বরে বড় ছেলেও বললো, আমিও পারবো, নব্য বোরকা পরিহিতা বউ মাথা নাড়ালো, মানে পারবে। এবার আমি আর যাই কই, বললাম আমিও পারবো। আমরা ইউরোপের একটা সুশিক্ষিত দলের সাথে মিশে, খুব হিম্মতের সাথে সাতবার তওয়াফ সারলাম। তেমন কোন কষ্টবোধ হলো না। তাওয়াফ এর শেষের দিকে দেখলাম, মেশিনের সাহায্যে ইমাম সাহেবের খুতবার মিনার এসে কাবা শরীফের সাথে সংযুক্ত হলো এবং ইমাম সাহেবও চলে এলেন। আমরা ইমামের ঠিক পিছনেই সবাই জুম্মা পড়লাম এবং নামাজ শেষে সেদিনই বড় ভাই কিছু ছবি তোলার অনুমতি দিলেন।
লেখাটি কয়েকদিনে ধীরে ধীরে লিখেছি, ধৈর্য ধরে পড়বেন আশাকরি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে মক্কা ও মদিনায় হজব্রত ও ওমরাহ পালনের তাওফিক দিন।-আমিন
--চলবে