ইসলামিক ডেস্ক: সুস্থ, সবল, নিখুঁত গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করতে হবে। ষাড়, খাসি, বকরি, পাঠা, ভেড়া, দুম্বা, গাভী, বলদ, মহিষ, উট এই কয় প্রকার পশুর দ্বারা কোরবানি করা যাবে। হরিণ এ ধরনের হালাল বন্য পশুর দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয়পুত্র কোরবানির জন্য পেশ করবার মধ্য দিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন কোরবানি করতে হবে প্রিয়বস্তু। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের প্রিয়বস্তু উৎসর্গ করা ছাড়া তোমরা কখনোই সৎকর্মশীলতায় পৌঁছবে না” (আল-ইমরান: ৯২)। এতে বোঝা যায় কোরবানির পশু হতে হবে দোষমুক্ত।
কাজেই আসন্ন কোরবানীর ঈদে কোরবানীর পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা বিশেষ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বকরি, পাঠা, খাসি, ভেড়া, দুম্বা পূর্ণ এক বছরের কম বয়সের হলে তা দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না। তবে ছয় মাসের বেশি বয়সের দুম্বার বাচ্চা যদি মোটাতাজা হওয়ার কারণে এক বছরের বাচ্চার মতো মনে হয়, তবে তা দ্বারা কোরবানি করা বৈধ হবে। গরু, মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর এবং উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে।
কোরবানির পশু সুস্থ, সবল এবং দৃষ্টিনন্দন হতে হবে। অন্ধ, কানহীন জন্তু কিংবা একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ বা তাঁরচেয়ে বেশি কেটে গেছে, মূল থেকে ভেঙে যাওয়া শিংওয়ালা জন্তুর দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না। অনুরূপভাবে অতি কৃশকায়, দন্তহীন পশু, তিন পায়ে ভর দিয়ে চলা খোড়া পশু দ্বারা কোরবানি করা বৈধ হবে না।
মনে রাখতে হবে, কোরবানি একটি ইবাদত। কাজেই কোরবানীর সকল বিধিবিধান মেনে কোরবানি করা প্রয়োজন।