ইসলামিক ডেস্ক:পবিত্র হজ শেষে সম্মানিত হাজি সাহেবরা দেশে ফিরছেন অনেকে ইতিমধ্যে এসেছেন। সদ্য হজ ফেরত হাজিদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অনেক বেশি। তারা আল্লাহর মেহমান হয়ে তারই ঘরে গিয়েছিলেন, আবার ফেরত আসছেন নিষ্পাপ হয়ে। তাই প্রিয় নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ‘কোনো হাজির সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দিবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা ও মুয়ানাকা করবে এবং দোয়া চাইবে। কারণ তাদের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। -সুনানে তাবরানি
হজ পালনকারী বিপুল সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। এই সম্মান ও মর্যাদার কথা স্মরণে রেখেই তাকে পরবর্তী জীবন আল্লাহর পথে পরিচালিত করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, হজ থেকে ফিরে এসে অনেকে তা ভুলে যান, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পার্থিব মোহে হজের মূল উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে জড়িয়ে পড়েন আত্মপ্রবৃত্তির অনুসরণে, সুদ, ঘুষ তথা পঙ্কিলতার আবর্তে। তাই হজ পরবর্তী সময়ে সকলকে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।
হাজিদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাঁর ওয়াদা অনুযায়ী আপনাদেরকে নিষ্পাপ করে দিয়েছেন। তাই খুব সতর্ক থাকতে হবে যেন পবিত্র অন্তরে আর কোনো গোনাহের কালিমা না পড়ে। হালাল রুজির ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
হজ থেকে ফিরে আসার পর একজন হাজির আবশ্য কর্তব্য হচ্ছে, সে তার দীনের হেফাজত করবে, নিজের ঈমানের পূর্ণতার দিকে খেয়াল রাখবে, আল্লাহ ও রাসুল সা. এর কোনো নির্দেশ বা তার অংশ ছুটে যাওয়া বা বাদ পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি যত্নবান হবে। তাই একজন হাজিকে যাবতীয় ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাহ আদায়ের পাশাপাশি আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাই আমাদের উচিত হবে হজ পরবর্তী জীবনে নিজে সঠিকভাবে চলা ও অন্যকেও সে পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর নির্দেশিত পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন!