আইএসডিই-এর উদ্যোগে কক্সবাজারে ২০০ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্য ও সুরক্ষা সমাগ্রী বিতরণ

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কভিড-১৯ ও সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিবারের মধ্যে জরুরি খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করেন বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল, আইএসডিই কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ব্যবস্থাপক জালাল উদ্দীন, কর্মসূচি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, স্থানীয় সমাজসেবী আজিজুর রহমান মানিক, জয়নাল হাজারী, মাস্টার নুরুল কবির প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বেতুয়া বাজার মহিলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক, আইএসডিই কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ব্যবস্থাপক জালাল উদ্দীন, কর্মসূচি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, স্থানীয় সমাজসেবী মোঃ সামশুল আলম, আজিজুর রহমান মানিক, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডাব্লুজেআর এর সহায়তায় আইএসডিই প্রদত্ত ত্রানের মধ্যে ছিলো চাল-২৫কেজি, আলু-৫কেজি, সয়াবিন তৈল-৫লিটার, মরিচ-৫০০গ্রাম, হলুদ-২০০গ্রাম, পেয়াজ-২কেজি, লবন-১কেজি, মসুর ডাল-২কেজি, সাবান-২টি ও মাস্ক-২টি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিলো। উল্লেখ্য কক্সবাজারে সংগঠিত সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসাবে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠির মাঝে কভিড সংক্রমন রোধ ও কর্মহীন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কর্মসুচির আওতায় আইএসডিই কক্সবাজারের ১০০০ পরিবারের মাঝে এধরনের সহায়তা প্রদান করবে।

এবিষয়ে আইএসডিই বাংলাদেশ'র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, কভিড-১৯ ও সাম্প্রতিক বন্যায় কক্সবাজারের বিপুলসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সরকারি- বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা খানিকটা অপ্রতুল। আইএসডিই স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে বরাবরের মতো দ্র্গুত ও ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামিতেও জেলার অসহায় মানুষের যে কোন সংকটকালীন সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান এধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।