শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বাকেরগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মুছা ইবনে সাঈদ। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ে ১ জন করে উপজেলা কৃষি অফিসার এ পুরস্কারে ভূষিত হন।

এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে ডিএইর উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত তার হাতে সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোসাম্মৎ মরিয়ম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পরিচালকের দপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ জি এম এম কবীর খান, সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. ফাহিমা হক প্রমুখ।

মুছা ইবনে সাঈদ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি ভোলা সদরের পৌরকাঠালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চাকুরি জীবনে তিনি ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট ঊনত্রিশ বিসিএস’র মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিসেবে বরিশালের মুলাদি উপজেলায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে উপজেলা কৃষি অফিসার পদে পদোন্নতি পেয়ে বাকেরগঞ্জে যোগদান করেন।

এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিসেবে একই উপজেলার সুনীতি কুমার সাহাও এ পুরস্কার পান।

উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে এ পুরস্কারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে একটি সনদ এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’ পুরস্কারে নির্বাচিতদের জন্য ১৮টি গুণাবলি থাকতে হবে। এগুলো হলো: নিজের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, কর্মস্থলে সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভ আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে শুভ আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্র্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই.ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।