টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনও লার্নিং স্টেজে রয়েছে-রফিকুল ইসলাম বাবু

বিশেষ প্রতিবেদক:সম্প্রতি শেষ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পেশাদারিত্ব দেখিয়ে ঠিকই চ্যাম্পিয়নের মুকুটটি ছিনে নিল অষ্ট্রেলিয়া। আমাদের দেশ অনেক ভালো করবে; কিছু না হলেও সেমিফাইনালে যাবে এমন আশা ছিল সকল দেশবাসীর। আশা করার কারণও ছিল কারণ দলটি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছিল। তবে নিয়মিত টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেললেও নিজেদের পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ মিশন শেষে এমনটাই কথা উঠেছে ক্রিকেট প্রেমীদের মাঝে। নিজেদের মতো উইকেট তৈরি করে জয় পেয়ে মিথ্যা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার কারণেই ক্রিকেট বোদ্ধাদের মাঝে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।

সম্প্রতি এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলছিলেন একসময়কার তুখোড় ক্রিকেট সংগঠক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং সাবেক চেয়ারম্যান গ্রাউন্ডস্ এন্ড  ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি এর পরিচালক (ইমপোর্ট এন্ড ফিন্যান্স) জনাব রফিকুল ইসলাম বাবু। হোম কন্ডিশনে ভালো খেললেও বাইরের কন্ডিশনে কেন নয় সে বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার কিছু অভিব্যক্তি তুলে ধরলেন ঠিক এভাবেই। এছাড়া তিনি তার অভিজ্ঞতালব্ধ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রতি।

ক্রিকেটের জন্য অন্তপ্রাণ এ ব্যক্তিত্ব বলেন, টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশ বরাবরই দুর্বল ছিল। টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের র‌্যাংকিং দেখলেই সেটি সহজে বোঝা যাবে। কিছুদিন পূর্বে টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নিচে যা সত্যিই লজ্জার। এরপরে আমরা দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর অবস্থানটি চলে আসলো ষষ্ঠ স্থানে। স্বাভাবিতভাবেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমী-সাবেক ও বর্তমান খেলোয়ার, ক্রিকেট সংগঠক, বিসিবির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা সকলেই আশা নিয়ে ছিল যে টাইগাররা এবার টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে ভালো কিছু একটা দেখাবে। কিন্তু দুর্বল দলগুলির বিপরীতে ক্রমাগত পরাজয় দেখেই আমরা বুঝতে পারি বাংলাদেশ এখনও টি-টুয়েন্টিতে লার্নিং স্টেজে রয়েছে।

টাইগাররা এখনো শিখছে কিভাবে টি-টুয়েন্টি খেলতে হয়? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের আড়াই দশকের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আমাদের খেলোয়াররা এখনো টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারেনি। টি-টুয়েন্টি বা টেস্ট ম্যাচ কিভাবে খেলতে হয় বা টেস্ট ম্যাচ কিভাবে ড্র করতে হয় সেটা আমরা এখনও শিখিনি। কেন এমন হলো সে সম্পর্কে বলতে যে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলি সেটা একেবারেই মানসম্মত নয় এই উইকেট এর ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা দুঃখজনকভাবে কয়েকটি বিষয় দেখেছি সেটি হল আমাদের কোচেস/খেলোয়াড় এবং বোর্ডের মধ্যে এক ধরনের মনোমালিন্য। এটা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে আমাদের অধিনায়ক এর কথায়, বোর্ড প্রেসিডেন্ট এর কথায়। এছাড়াও ক্রিকেট নিয়ে যারা সব সময় ভাবনা চিন্তা করে থাকেন তাদের কথায় ফুটে উঠেছে। এটির ফলাফল পেয়েছি আমরা চলতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরম্যান্স দেখে। কোনো ম্যাচে খেলোয়াড়রা ব্যাটিং ভালো করলে তো ফিল্ডিং-বোলিং খারাপ করেছে। একধরনের সমন্বয়হীন ক্রিকেট খেলার ফলে আমরা দিন দিন র‌্যাংকিং থেকে পিছিয়ে পড়ছি।

তবে হারা মানে শেষ নয় এর থেকে পরিত্রান পরিত্রান পাওয়ার যথেষ্ট উপায় আছে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে ক্রিকেটে অবশ্যই ভালো কিছু উপহার দেয়া সম্ভব জানালেন রফিকুল ইসলাম বাবু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনই টি-টুয়েন্টি টিম আলাদা করে করে তৈরী করে নিতে হবে। আমাদের দেশের উইকেটগুলিকে পজিটিভ করতে হবে। এছাড়া উইকেটগুলিকে বাউন্সি ও ট্রু করতে হবে। যে উইকেটগুলিতে খেললে আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা বাইরে যেয়ে খেলতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। তাহলে দেশের মাটিতে থেকেই তারা এ ধরনের খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে; কিভাবে খেলতে হয় টেস্ট অথবা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন বোর্ডের এত কর্মকর্তা রয়েছে, ম্যানেজমেন্টে এত জনবল রয়েছে, বিদেশি কিউরেটর আছে তারা কখনো এই দিকটির দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়নি বলে মনে করেন তিনি। আমরা এতদিন পরেও যদি বলি আমরা এখন শিখছি তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত বেদনার। এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের কারণে কেবলমাত্র খেলোয়াড়দেরকে এককভাবে দায়ী করলে হবে না। আমরা যদি সারা বছর অনুশীলন না করে খেলার ভেতর না থেকে হঠাৎ করে যদি খেলোয়ারদের হুট করে ছেড়ে দিয়ে যদি বলি যে তোমরা ভালো করবে তাহলে সেটা বুমেরাং হবে যেটি এখন ঘটেছে। একজন শিক্ষার্থী যদি সারা বছর পড়াশোনা না করে পরীক্ষার হলে বসে তাহলে যে দশা হয় আমাদের খেলোয়াড়দের ঠিক সেই দশাই হয়েছে। সেজন্যেই শুধু খেলোয়াড়দের এককভাবে দোষারোপ করে কোন লাভ নেই।

রফিকুল ইসলাম বাবু আরো বলেন, বর্তমান সময়ে খেলোয়ার তৈরির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে যে স্ট্রাকচার রয়েছে সেটি পরিবর্তন জরুরি। সংগঠকদের এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সে বিষয়টি দিকে এখন জরুরি ভিত্তিতে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ আমাদের ক্রিকেট মাঠ, উইকেট, আম্পায়ারিং সহ ক্রিকেটরে সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের এখন কঠোরভাবে মনোনিবেশ প্রয়োজন। যাদের মাধ্যমে খেলাকে কলঙ্কিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে গেলে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা ক্রিকেটকে ভালোবাসেন তারা কোনদিনও ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে না।

এ থেকে আমাদের একটি চরম শিক্ষা হয়েছে যার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন রফিকুল ইসলাম বাবু। খেলোয়াড়রা যদি ভালো না করে তাহলে সংগঠকদের কি অবস্থা হয় সেটি বোধ হয় আমরা অনুভব করেছি। খেলোয়াড়রা ভালো করলে আমরা গর্ব করি। ক্রিকেট বোর্ডের সাথে যারা ছিলেন বা যারা আছেন সবাই বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা যে কোন দেশকে হারানোর ক্ষমতা রাখে যেটা তারা বারবার প্রমাণ রেখেছেন। কিন্তু কিছু কিছু ভুল পরিকল্পনা এবং ম্যানেজমেন্টের কিছু কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে আজকের এই অবস্থা। এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

মিরপুরের উইকেট আমাদের হোম গ্রাউন্ড; এখানে আমাদের খেলোয়াড়রা কিছুটা অ্যাডভান্টেজ নেবে এটাই স্বাভাবিক। অনেকেই এখন ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টকে অযথাই  দোষারোপ করছেন যে ধরনের এ ধরনের উইকেটে ক্রিকেট খেলার জন্য টি-টুয়েন্টিতে আজকে এই অবস্থা! এ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বাবু সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, ভালো করলে ওখানেও করা যেত কারণ এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পিনাররা যথেষ্ট ভাল করেছে। এটি একটি খোঁড়া যুক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে জেতা ম্যাচটি কেবলমাত্র ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হারতে হলো। এতে টাইগারদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়ায়ার খেসারত পরবর্তী ম্যাচগুলিতে দিতে হয়েছে। কাজেই এখানে উইকেটের দোষ দিয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা টি-টুয়েন্টিতে আগেও খারাপ খেলেছি বরাবরই আমাদের পারফরম্যান্স আশাব্যাঞ্জক ছিল না এটাই হলো বাস্তবতা।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এখন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কোন ধরনের উইকেটে খেললে ভালো হবে সেটাই এখন আমাদের বিবেচ্য বিষয়। আমাদের দেশে সাবেক এবং অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন, রয়েছেন ক্রিকেটবোদ্ধা যারা ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা করেন তাদের থেকে বোর্ড বা টিম ম্যানেজমেন্টের কি কিছু নেওয়ার সুযোগ রয়েছে' জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রিকেট বোর্ড হয়তো তাদের পরামর্শ নেয় কিন্তু বাস্তবে তার কতটুকু প্রতিফলন হয় সেটি আসলে দেখার বিষয়। হোম অ্যাডভান্টেজ-এর একটি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন বাংলাদেশের মাটিতে একেবারে নতুন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ পরাজয়বরণ করেছিল তাহলে এখানে হোম অ্যাডভান্টেজ কি নিতে পেরেছিলাম আমরা! এসবের মূল কারণই হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব, সিদ্ধান্তহীনতা এবং দূরদর্শিতার অভাব। এখন আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গুছিয়ে পরিকল্পনামাফিক এগুতে হবে; সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে; কোনো ধরনের মনোমালিন্য রাখা চলবে না। কোন দেশের সাথে কিভাবে খেলতে হবে সেটা ক্রিকেট বোর্ডের পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। তাহলে টি-টুয়েন্টি ও টেষ্ট ক্রিকেটে ভালো ফলাফল আসতে পারে অন্যথায় আমাদের ক্রিকেট দিন দিন আরো পিছিয়ে যাবে।

ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের প্রয়োজনীয়তা কথা তুলে ধরে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা যদি অতীতের ঘরোয়া লিগের ক্রিকেট লীগের কথা মনে রাখতে পারি তাহলে সেখানে দেখা যাবে দেশব্যাপী ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে জমজমাট আসর বসতো। নির্মান স্কুল ক্রিকেট লীগ, ইন্টার স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহণ করত মাঠ পর্যায়ের খেলোয়াররা। অনেক সময় জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের সাথে খেলে তারা ভালো একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করত যেখান থেকে ভালো ভালো খেলোয়ারউঠে আসতো। এসবের কিছুই এখন চোখে পড়ে না! একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সমস্ত কার্যক্রম আবার চালু করলেই অনেক ভালো ভালো খেলোয়ার তৈরি হবে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক ভালো খেলোয়াড় পাইপলাইনে থাকবে।

এ ধরনের আয়োজনে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন জানতে চাইলে তিনি বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধশালী একটি বোর্ড। পৃথিবীর অনেক দেশের ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক দিক দিয়ে এতটা শক্তিশালী নয় । ক্রিকেট বোর্ডের অর্থ সঠিক জায়গায় ব্যয় করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অযথা খেলা দেখার জন্য বিদেশভ্রমনে ১০ জন/২০ জন/৩০ জন এমনকি ৪০-৫০ জন সফর করছেন। অহেতুক এ ধরনের খরচ না করে ক্রিকেটের উন্নয়নে ব্যয় করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। তার সময় ক্রিকেট বোর্ডে খেলা দেখার জন্য কর্মকর্তারা বিদেশ গেলে সর্বোচ্চ চারজন এবং বড় কোন টুর্নামেন্টে হলে ৫-৬ অনুমতি মিলত।

রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে বোর্ডে কার কি ভূমিকা রাখা প্রয়োজন সেভাবে সকলের চলতে হবে যদি আমরা সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটের উন্নয়ন দেখতে চাই। বিসিবির অর্থ মানে বিসিবির টাকা না ভেবে এটা দেশের অর্থ ভেবে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রিকেটার তৈরি করতে হবে। আমাদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বিশ্বদরবারে ক্রিকেটের প্রত্যেকটি আসরে। বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে ক্রিকেটের মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে হবে সে ক্ষেত্রে কঠোর হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সকলে মিলে ক্রিকেটকে একটি সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাবে এমনটাই আশা করেন রফিকুল ইসলাম বাবু।

ক্রিকেট তথা দেশের সমস্ত খেলাধুলাকে দল-মত-নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা উচিত। দেশের সব ধরনের খেলার সাথে সংশ্লিস্ট বর্তমান ও সাবেক খেলোয়ার, ক্রীড়া সংগঠক থেকে শুরু করে ১৮ কোটি জনগণ মনে করেন একমাত্র খেলাধুলাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। এখানে কোন বিভেদ থাকতে পারে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং গ্রাউন্ডস্ এন্ড  ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুও সেই প্রত্যাশাই করেন।