আগামীকাল ১৪ মার্চ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি দিবস "উৎপাদনমুখী অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রি চালুর দাবি"

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

বাকৃবি প্রতিনিধি: প্রাণি উৎপাদন বিষয়ে দেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উৎপাদনমুখী অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রি চালুর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের সভাকক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন দাবি জানিয়ে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে এন্ট্রি লেভেলে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য পদ সৃষ্টি করতে হবে। যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে পোলট্রি ও ডেইরি বিজ্ঞানে পৃথক প্রদান করতে হবে। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের অবদান রাখার সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রাণি উৎপাদন ও প্রাণি চিকিৎসা নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর গঠণ করতে হবে। প্রাণিসম্পদের উৎপাদনমুখী সকল কর্মকান্ডে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা চান তিনি।

ডিন জানান, ‘দুধে ভাতে পুষ্টি, পশুপালনেই মুক্তি’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি দিবস পালিত হবে। বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সেমিনার এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হবে। দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে দুগ্ধশিল্পে প্রতিবন্ধকতা ও সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান শেখ নাদির লিপু এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যানিমেল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, ধান, পাট, আম, গম ও ভুট্টা গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শস্যের জন্য আলাদা আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদনমুখী বিস্তর গবেষনার কারণে বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনের কারণেই দেশ আজ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পন্ন। দেশের খাদ্যশস্যে যেভাবে উৎপাদন বেড়েছে সেভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়েনি। দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণিসম্পদের জন্য আলাদা আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। সেজন্যই দেশের প্রাণিসম্পদ পিছিয়ে আছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্যশস্যের মতো প্রাণিসম্পদের স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জনে আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরির বিকল্প নেই। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগণের দুধ, ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটাতে প্রাণিসম্পদে আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে।

অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অ্যানিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, অ্যানিমেল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদ ছাত্র সমিতির সহসভাপতি রেজওয়ান শোভন, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সরকারসহ ছাত্র সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।