চারঘাট উপজেলাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্বচিত্র রূপে উপস্থাপনের মাধ্যমে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

মো. এমদাদুল হক: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় চত্বর প্রাঙ্গনে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যেমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ৩ দিনব্যাপী (২১ হতে ২৩ মার্চ) পর্যন্ত কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। মেলার শুভ উদ্বোধন করেন চারঘাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ফকরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারঘাট পৌরসভার মেয়র মো. একরামুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার, উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা: তাজমিরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া অনান্য অতিথিগন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহরাব হোসেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। এসরকার দেশ জাতিকে নিয়ে সবসময় ভাবেন কিভাবে দেশের মানুষ ভাল থাকতে পারে। এছাড়া তিনি কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সাধুবাদ জানান। উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেকের নিজের জমিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এতে করে লাভবান হওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহরাব হোসেন তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কৃষির ব্যাপকতা দিন দিন বাড়ছে। শুধু উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয় পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খাদ্যে সয়ম্ভরতা এবং সেই সাথে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য আধুনিক কলাকৌশলের ব্যবহার বাড়ছে এবং আরও বাড়াতে হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে খাওয়াতে হলে বেশি বেশি উৎপাদন ছাড়া উপায় নাই। আর উৎপাদন বাড়াতে দরকার নতুন নতুন আধুনিক প্রযুক্তি এবং মাঠ পর্যায়ে তার যথাযথ ব্যবহার। টানা তিন দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তির জীবন্ত নমুনা উপস্থাপন করে। পরিশেষে কৃষকদের মাঝে পাট বীজ বিতরণের শুভ সূচনা করে যা পরবর্তিতে এক হাজার সাতশত কৃষক পাট বীজ পাবে।

মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধায় বন বিভাগ ২শতটি করে চারা বিতরণ করবে চারাগুলো যারা আগে আসবে তারা পাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার খন্দকার ফিরোজ মাহমুদ।