বরিশালে জিংক চালের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বায়োফর্টিফাইড জিংক চালের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ নভেম্বর (রবিবার) নগরীর ব্রি সম্মেলনকক্ষে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।

তিনি বলেন, জিংকের অভাবে মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তা দূরীকরণে জিংকসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ জরুরি। সেজন্যই ধানের মধ্যে জিংক সংযোজন করা হয়েছে। এসব জাতগুলো হলো- ব্রিধান৬২, ব্রিধান৬৪, ব্রিধান৭৪, ব্রিধান৮৪, বিনাধান২০ এবং বঙ্গবন্ধুধান১০০। তাই জিংকের ঘাটতি পূরণে এর আবাদ বাড়াতে হবে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান।

হারভেস্ট প্লাসের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো.জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. ফজলুল হক, ডিএই ভোলার উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো.নজরুল ইসলাম, ডিএই ঝালকাঠির প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএই পটুয়াখালির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন তালকদার, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জামাল হোসেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের শৈলেন মিত্র, হারভেস্ট প্লাসের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ওয়াহিদুল আমিন, প্রজেক্ট অফিসার রুহুল কুদ্দুস, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ মো. আবু হনিফা।

কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।