ছাত্রলীগ নেতা তপন স্মরণে বাকৃবিতে স্মরণসভা

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তপনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে ওই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ আল হাসানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামিউর রহমান নাবিলের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস এবং প্রয়াত তপনের পিতা আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ এবং বাকৃবি ছাত্রলীগের সদস্য রাশেদ খান মিলন। অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, তপন ছাত্রলীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন। সে যতটুকু ছাত্রলীগের পিছনে নিস্বার্থভাবে সময় ও শ্রম ব্যয় করেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি ছাত্রলীগ কর্মী যদি ততটুকু সময় ও শ্রম দেয় তবে আওয়ামীলীগ কোনোদিন ক্ষমতা হারাবে না।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, তপন আমার সরাসরি ছাত্র ছিল। সে আচার-আচরণে নম্র ও অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল। হয়ত আজ তপন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় পর্যায়ে যেতে পারত। এরকম অকাল মৃত্যু যেন বাকৃবির আর কোনো শিক্ষার্থীর না হয় সেই কামনাই করি। তপনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

এদিকে মরহুম তপনের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ওই হলের ডায়নিংয়ের পাশের কক্ষে "নূরে আলম তপন স্মৃতি পাঠকক্ষ" নামে একটি রিডিং রুমের উদ্বোধন করা হয়।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থী এবং বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তপন মারা যান। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে পশুপালন অনুষদে ভর্তি হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ডেইরি সায়েন্স বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যু্গ্ম-সাধারণ সম্পাদক হন।