যথাযোগ্য মর্যাদায় এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ-এ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন

ক্যাম্পাস ডেস্ক:এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (ইবিএইউবি)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ৬ টা ৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) এর নেতৃত্বে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে র‌্যালির মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে ফ্ল্যাশ মব এর আয়োজন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন-এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান সকলকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার আহবান জানিয়ে বলেন, তথাকথিত কিছু ইতিহাসবিদগনের কারনে আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। আল্লাহর কৃপায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কারণে বর্তমান প্রজন্ম ও পরের প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক পরিবার স্বাধীনতার যুদ্ধে তাদের অনেক আপনজনকে হারিয়েছে। স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে তাঁর পরিবারের কয়েকজন আপনজনকে পাকিস্তানের দোসর হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করার কথা বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত হতে যাচ্ছি। সর্বশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ যারা দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি জয় বাংলা বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ১৯৭১ সালের অত্যাচারের সেই ভয়াবহ চিত্র সবার সামনে তুলে ধরেন ও স্বাধীনতার চেতনা সবার মনে জাগ্রত রেখে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, কৃষি অনুষদের সিনিয়র প্রভাষক ড. মোঃ সাহেব আলী পিকে ও কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের প্রভাষক মোঃ আবু সায়েম।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন ও আইকিউএসি -এর পরিচালক ড. মোঃ শামীমুল হাসান, কৃষি অনুষদের প্রধান ড. আশরাফুল আরিফ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রধান এস এম ফরিদুল ইসলাম, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের প্রধান মেহনাজ আফছার , আইন অনুষদের প্রধান এনামুল হক, লিগ্যাল সেলের প্রধান এস এম শহীদুল ইসলাম ও প্রক্টর ড. মোঃ মশিউর রহমান সহ সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

সর্বশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ট্রেজারার (অ.দা) এবং উদযাপস কমিটির আহবায়ক, মোঃ শাহরিয়ার কবীর সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।