দুনিয়া ও আখিরাতে সুখী ও সমৃদ্ধ হতে চাইলে মিতব্যয়ী হওয়ার বিকল্প নেই

ইসলামিক ডেস্ক:দুনিয়া ও আখিরাতের প্রতিটি মুহূর্ত সুখী ও সমৃদ্ধ চাইলে মিতব্যয়ী হওয়ার বিকল্প নেই।পবিত্র কুরআনে সূরা ফুরকানের ৬৭ নম্বর আয়াতে মিতব্যয়িতার উল্লেখ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।’ মিতব্যয়িতা নিয়ে কুরআন একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান প্রকাশ করেছে। জীবনের সব ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন মানুষকে গতিশীল করে, কাজকে সহজ করে, সমাজকে উন্নত করে, ব্যক্তি জীবন ও পারিবারিক জীবন সর্বক্ষেত্রে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে।

ছাত্রজীবনে আমরা ভাব-সম্প্রসারণ লেখার সময় একটি ছিল "যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশুগৃহে তার জ্বলিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।" অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি সুসময়ে অর্থের অপচয় করে, তাকে দুঃসময়ে পস্তাতে হয়। তার জীবনে অভাব নেমে আসে। চলার সাধারণ ছন্দ হারিয়ে সে ভয়ঙ্কর দরিদ্র্যতার শিকার হয়। জীবনে যখন তার দুর্গতি নেমে আসবে তখন হয়তো সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করবে কিন্তু এতে তার কোনো লাভ হবে না। অপচয় এমনই এক ভয়াবহ ব্যাধি।

অপচয়কারী আল্লাহর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়। পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে, সূরা আন আমের ১৪১ নং আয়াতে ‘নিশ্চয়ই তিনি অপব্যয়কারীদের পছন্দ করেন না’।

কুরআনের চমৎকার এমন একটি আয়াত রয়েছে। ‘তোমরা আহার ও পান করো, আর অপচয় করো না’ (সূরা আরাফ, আয়াত-৩২)। আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যসংক্রান্ত মূলনীতি বর্ণনা করে দিয়েছেন। আমাদেরকে ততটুকু খাবার গ্রহণ করতে বলেছেন, যতটুকু গ্রহণ করলে অপচয় হবে না। এই নির্দেশনা মেনে চললে অলসতা আর বেশির ভাগ রোগব্যাধি থেকেও মুক্ত থাকব।

রাসূলে কারিম সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিমিত ব্যয় করে সে নিঃস্ব হয় না’ (মুসনাদে আহমাদ-৭/৩০৩)। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা অপব্যয় করে, তারা তো শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি অতি অকৃতজ্ঞ’ (সূরা বনি ইসরাইল : ২৭)।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের মিতব্যয়ী হওয়ার তাওফিক দিন, আমীন।