হালাল উপার্জনই হলো শ্রেষ্ঠ উপার্জন

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামের সব সময় হালাল উপার্জনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কারণ হালাল উপার্জনই হলো শ্রেষ্ঠ উপার্জন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা হালাল হারাম বিবেচনা না করে এমনভাবে সম্পদ উপার্জন করছি সেটি হালাল না হারাম সেগুলো ভাবছি না। বাস্তবিক অর্থে বর্তমান সমাজের মানুষের ধন সম্পদকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ এমন এক কাল অতিক্রম করবে, যাতে মানুষ এ কথার চিন্তা করবে না, যে সম্পদ উপার্জন করা হচ্ছে, তা হালাল না হারাম?’ (মিশকাত)। বর্তমান আমরা এমন যুগই অতিক্রম করছি। অথচ রিজিকের মালিক হলেন সৃষ্টিকর্তা। তিনি যাকে চান প্রভূত রিজিক দান করেন। আমাদের কাজ হলো তার নির্দেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা। যেভাবে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : ‘তুমি বল, নিশ্চয় আমার রব যার জন্য চান রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন এবং সংকুচিতও করে দেন; কিন্তু অধিকাংশ, লোক তা জানে না।’ (সূরা সাবা : আয়াত ৩৬)।

মহানবী সা: বলেন, ‘হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা ফরজের পর আরেকটি ফরজ’। (বাইহাকি-১১৪৭৫) তিনি আরো বলেন, ‘হে লোক সকল! আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম-২৩৯৩)

হালাল উপার্জনের গুরুত্ব দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে মানবমণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু সামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সূরা বাকারা-১৬৮) এখান থেকে বোঝা যায়, হালাল খাদ্য ভক্ষণ, উপার্জন সবই ফরজ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ আরো বলেন- ‘অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হয় তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) অন্বেষণ করো।’ (সূরা জুমুআহ-১০) এখানে অন্বেষণ বলতে হালাল রুজি অন্বেষণের কথা বলা হয়েছে।

নিজ হাতে উপার্জিত হালাল রিজিক সর্বোত্তম রিজিক। মহানবী সা: বলেন, ‘আল্লাহর নবী দাউদ আ: নিজ হাতের উপার্জন থেকেই ভক্ষণ করতেন’। (বুখারি-১৯৬৬)

আসুন আমরা উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল দিক বিবেচনা করে উপার্জন করি। নিশ্চয়ই হালাল উপার্জনের মধ্যে সুখ ও শান্তি বিদ্যমান যা ইহকাল এবং পরকালে বিরাজমান। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সহায় হন।- আমিন