জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫: প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণ ও মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপনী

Category: ফোকাস Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণ ও মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপনী অনুষ্ঠান আজ সন্ধ্যায় পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান।

সিনিয়র সচিব বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সাথে জড়িত বিজ্ঞানী, খামারি ও উদ্যোক্তাদের অবদানের ফলেই আমরা কোরবানির গরু–ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। তিনি প্রাণিসম্পদ পণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের লেদার এক্সপোর্টের পেছনে মূল কারিগর হচ্ছে খামারিরা। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রাণিজ খাদ্যের পুষ্টিগুণ আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সিনিয়র সচিব আরও বলেন, আমাদের সুস্থতার জন্য আমিষ অত্যন্ত জরুরি। ফিশারিজ এবং লাইভস্টক সেক্টরই দেশের আমিষ সরবরাহ করছে, যার বড় অংশই আসে খামারি–চাষীদের হাত ধরে। মেলার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেলার লক্ষ্যই হলো দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সচেতনতা সৃষ্টি এবং উৎপাদন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা।

তিনি বলেন, আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। গবেষণা ও ভ্যাক্সিন উৎপাদনে অবদান রাখাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। খামারি উন্নয়নে তিনি জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, যাতে খামারি ও উদ্যোক্তারা খাস জমি ব্যবহারের সুযোগ পান সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এই মেলায় প্রাইভেট সেক্টর অসাধারণ অবদান রেখেছে; তারা অগ্রসর হয়ে এসেছে। স্বপ্নকে বড় করতে হবে স্বপ্ন বড় না হলে বড় অর্জন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রদর্শনীতে প্রিয় প্রাণী নিয়ে অংশগ্রহণকারী খামারিদের ধন্যবাদ জানান।

সচিব আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের আয়োজন সফল করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর-সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়া, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সায়েম উল হক।

উল্লেখ্য, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে ১০ ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।