“গ্লোবাল মার্কেটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড”

Category: এগ্রিবিজ এন্ড টেক্ Written by Shafiul Azam

রাজধানী প্রতিনিধি: বাংলাদেশের পুষ্টি নিরাপত্তা, কৃষক উন্নয়ন এবং রপ্তানি সম্ভাবনার নতুন অধ্যায় রচনা করছে দেশীয় ফিড শিল্প। এই যাত্রায় আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে দেশের লাইভস্টক ও ফিশারিজ খাতের উদ্ভাবন ও অগ্রগতির অন্যতম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’-এর দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিক ফিডই পারে একটি শক্তিশালী লাইভস্টক এবং শক্তিশালী ফিশারিজ সেক্টর গড়তে। আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ সেই লক্ষ্যেই দেশের গবাদিপশু, পোল্ট্রি ও মাছ চাষের জন্য উদ্ভাবনী ফিড প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিএজেএফ সভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন এর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু খালিদ। ব্লু ইকোনমি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।

মোশাররফ হোসেন চৌধুরী জানান, আস্থার উচ্চমানের FCR-কেন্দ্রিক ফিশ ফিড ইতোমধ্যেই বিদেশি বাজারে আস্থা অর্জন করেছে। “কেনিয়া, আলজেরিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য বিভিন্ন দেশের মৎস্য ফার্মে যখন ‘Made in Bangladesh’ লেখা আমাদের ফিড ব্যাগ দেখা যায়, তখন এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের অর্জন নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের সক্ষমতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি,” বলেন তিনি।

আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মনে করেন, বাংলাদেশের অ্যাকোয়াকালচার ফিড শিল্পকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও শক্তিশালী করতে এখনই প্রয়োজন বিশেষ Fish Feed Export Incentive Policy। এই নীতি কার্যকর হলে নতুন বাজারে প্রবেশ সহজ হবে, উৎপাদকরা আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ শুধু নিজেদের জন্য নয়, বিশ্বেও নিরাপদ প্রোটিনের বিশ্বস্ত সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এজন্য আমাদের সবাইকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, এসিআই এগ্রিবিজনেসেস-এর প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ উপদেষ্টা ড. ফা হ আনসারী, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার এবং বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী ইমদাদুল হক।

বিএজেএফ আয়োজিত আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, শিল্প উদ্যোক্তা, করপোরেট ব্যক্তিত্ব, কৃষিবিদ, গবেষক এবং কৃষি, পরিবেশ, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।