গেমিং ও খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ততায় জোর দিচ্ছে ইনফিনিক্স

Category: এগ্রিবিজ এন্ড টেক্ Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে গেমিং ও খেলাধুলাভিত্তিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্র্যান্ড তরুণদের সঙ্গে পণ্যের বাইরেও সংযোগ তৈরির চেষ্টা করছে। ২০২৫ সালে ইনফিনিক্স গেমিং ও ফুটবলকে কেন্দ্র করে একাধিক উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে, যা তরুণদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণের ধরনকে সামনে এনেছে।

চলতি বছরে ক্যাম্পাসভিত্তিক ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতা পিএমসিসি ২০২৫ বাংলাদেশ আয়োজন করেছিলো ইনফিনিক্স। এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এতে তরুণ গেমারদের জন্য একটি সংগঠিত প্রতিযোগিতামূলক পরিসর তৈরি হয় এবং ক্যাম্পাস পর্যায়ে মোবাইল গেমিংয়ের প্রসারের চিত্র উঠে আসে।

এ ছাড়া ঢাকায় একটি গেমিং-কেন্দ্রিক ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই স্টোরটি শুধু বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে নয়, গেমিং অভিজ্ঞতা ও তরুণদের পারস্পরিক যোগাযোগের জায়গা হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি গেমিং সংস্কৃতিকে ঘিরে তৈরি হওয়া নতুন ধরনের ব্র্যান্ড সম্পৃক্ততার অংশ।

গেমিংয়ের পাশাপাশি, ইনফিনিক্স বাংলাদেশের নারী জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী ফুটবল ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। এই অংশীদারত্ব সেই প্রবণতার সঙ্গেই যুক্ত বলে মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্লেষকদের মতে, গেমিং ও খেলাধুলা উভয় ক্ষেত্রই তরুণদের মধ্যে দলগত কাজ, শৃঙ্খলা ও কৌশলগত চিন্তার বিকাশে ভূমিকা রাখে। ক্যাম্পাস পর্যায়ে ই-স্পোর্টসের বিস্তার এবং নারী ফুটবলের বাড়তে থাকা দৃশ্যমানতা তরুণদের আগ্রহের পরিবর্তনকে নির্দেশ করছে।

গেমিং ও ক্রীড়া—এই দুই ভিন্ন পরিসরে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইনফিনিক্সের উদ্যোগগুলো দেখায়, কীভাবে প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলো তরুণদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আগ্রহের সঙ্গে নিজেদের কার্যক্রম যুক্ত করছে। এতে পণ্যের প্রচারের চেয়ে তরুণদের অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

গেমিং ও খেলাধুলা যেভাবে বাংলাদেশের তরুণ সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠছে, তাতে এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে তরুণদের সঙ্গে ব্র্যান্ডগুলোর সম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।