এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরবর্তী দুর্ভিক্ষের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র কৃষি। এজন্য কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কৃষক পর্যায়ে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তিগুলি তুলে ধরতে হবে। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম একটি পূর্বশর্ত হলো বীজ। এর পাশাপাশি বীজ  সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরন একটি মুখ্য বিষয়অ আর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নিরলসভাবে সে কাজটি করে চলেছে।

"মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরন জোরদারকরন প্রকল্পের" ব‍্যবস্থাপনায় সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে বিএডিসি মালতি হিমাগার জোন কতৃক আয়োজিত দুইদিন ব্যাপি চুক্তিবদ্ধ চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবীর হোসেন। এসময় তিনি মানসম্পন্ন এবং রপ্তানিযোগ্য বীজআলু উৎপাদন এবং কৃষির যান্ত্রিকরনের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

জেলা বীজ প্রত‍্যায়ন কর্মকর্তা (DSCO) মোঃ আঃ আমীন বিভিন্ন শ্রেনীর বীজ নিয়ে এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা স্টেশন (টিসিআরসি) এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃমিজানুর রহমান আলুবীজ ফসলের রোগবালাই দমন ও ব্যাবস্থাপনার নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও আরো অনেক রির্সোস পারসন বীজ আলুর ঊৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্রন এবং বিতরন কার্যাবলীর উপর আলোচনা করেন।

সমাপনী দিনে চাষীদের প্রশিক্ষণের মূল্যায়ন করে পুরস্কার বিতরনে উপস্থিত ছিলেন এ এইচ এম খাইরুল হাসান উপ- পরিচালক, মান নিয়ন্ত্রণ, ঢাকা, ও ড. এ বি এম গোলাম মনছুর উপ-পরিচালক (টিসি), মালতি হিমাগার। চুক্তিবদ্ধ চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৩০ জন চাষী অংশগ্রহন করেন।