কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম:বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রশিক্ষণ কক্ষে তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক গবেষণা সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা ১৪ মে সোমবার শেষ হয়। কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুল ইসলাম সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াজেদ, রংপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রইছ উদ্দিন চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার উপপরিচালক ড. মো. সরওয়ারুল হক প্রমুখ।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আল আমিন হোসেন তালুকদার ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের জমি কমছে অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে। তারপরও দেশে খাদ্যের অভাব প্রায় নেই। এটি বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফসল। কৃষিবান্ধব সরকারের কাজে সহযোহিতা করার জন্য কৃষি বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদেরই ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরো বলেন, এদেশের মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা। এ মাটিতেই কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলসভাবে সাধনা করে যেতে পরামর্শ দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াজেদ বলেন গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ে ফলন পার্থক্য কমানোর উপর গুরুত্বরোপ করে বলেন যে, কৃষকের জন্য যা মঙ্গলজনক তাই গবেষণার আওতায় আনতে হবে এবং ফলপ্রসু ফলাফল কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,কৃষি তথ্য সার্ভিস, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, মশলা গবেষণা কেন্দ্র, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, গম গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ও আরডিআরএস বাংলাদেশ, রংপুর-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার সমাপনি দিনে পর্যালোচনা পর্বে সম্মনিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গম গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক কৃষিবিদ ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম।

তিনদিনব্যাপী কর্মশালায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা প্রতিবেদন ও সম্প্রসারণ ফিরতি বার্তা উপস্থাপন করা হয়।