ইসলামিক ডেস্ক:পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। ইসলাম সর্বদাই এ বিষয়টির প্রতি অত্যন্ত সজাগ এবং তা পালনের জন্য সর্বদাই তাগিদ দেয়। মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ইসলাম গুরুত্ব প্রদান করে। এ কারণে আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করো।” (সূরা আন-নিসা : ৭১) হাদীসে শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমার ওপর শরীরেরও অধিকার রয়েছে।” (বুখারী, হাদীস নং-১৯৬৮)।

বর্তমান করোনা মহামারীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব কেমন তা আমরা সকলেই বেশ ভালাভাবেই উপলব্ধি করছি। কি ধনী কি গরীব সকলেই এখন নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুচ্ছি। মাস্ক পরিধান ছাড়া চলাফেরা করছি না ইত্যাদি মেনে চলছি। এসব বিষয়গুলি মানবতার ধর্ম ইসলামে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে মুমিনদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। “আল্লাহ তওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।” (সূরা আল-বাকারা, ২২২), হাদীসে পবিত্রতাকে ঈমান অংগ বলা হয়েছে। শরীয়াতের বিভিন্ন বিধানকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম নির্ধারণ করা হয়েছে:

# ওজুর মাধ্যমে মানুষের শরীরের অনাবৃত্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা হয়;
# মেসওয়াকের মাধ্যমে মুখের সব ধরনের জীবাণু ধ্বংস হয়;
# সামগ্রিকভাবে সর্বক্ষণ ও বিশেষত সালাতে পরিধেয় কাপড় পরিচ্ছন্ন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন; “তোমার কাপড় পরিষ্কার রাখো।” (আল-মুদ্দাচ্ছির,৪)

কাজেই আমরা আতংকিত না হয়ে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হই; কেননা আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো বিপদই আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না। তিনি বলেন: “আল্লাহ যা আমাদের জন্য লিপিবদ্ধ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই আমাদের স্পর্শ করবে না; তিনিই আমাদের অভিভাবক। আল্লাহর উপরই মুমিনদের নির্ভরশীল হওয়া উচিত।” (সূরা আততাওবা, ৫১)

এ সময়ে আমাদের উচিত বেশি বেশি (১) তওবা, (২) ইস্তেগফার, (৩) নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ, (৪) কুরআন তিলাওয়াত, (৫) প্রতি মাসের নফল রোযা, (৬) তাহাজ্জুদ নামাজ ও (৭) রাসুলুল্লাহ সা. এর ওপর দুরুদ পাঠ করা।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের ইসলামে নির্দেশিত পথ গুলি সঠিকভাবে মেনে চলার তাওফিক দিন-আমিন।