আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি:যখন রমজানের আগমন হতো তখন রাসূলে করিম (সাঃ) অতিশয় আনন্দিত হতেন, তাঁর সাহাবাদের বলতেন, তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফযীলত বর্ণনা করে বলতেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরজ করেছেন। আর এ কারণে ক্যাম্পাসের প্রায় সব মুসলিম শিক্ষার্থীরাই রোযা রাখেন।  

কয়েক বছর ধরেই ক্যাম্পাসে সম্প্রীতির মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে রমজান মাসের ইফতার। পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের একসাথে ইফতার করা যেন সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের আলাদা মাত্রা যোগ করে দিয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তাই একই ধুম লেগেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষকরাও এতে পিছিয়ে নেই। শিক্ষার্থীদের দাওয়াতে যুক্ত হচ্ছেন তারাও কিংবা তাদের সংগঠনের ভিতরেও এমন আয়োজন করছেন।

বাকৃবি ক্যাম্পাসে এসব আরো সহজতর করে দিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা সমিতি প্রভৃতি। ইতিমধ্যে অনেকগুলো সংগঠন ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। প্রথম রমজানের দিনেই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে অঙ্কুর নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরপর থেকেই প্রতিদিন বেশ কয়েকটি করে সংগঠন এটির আয়োজন করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সংঘ, টাঙাইল জেলা সমিতি, দিনাজপুর জেলা সমিতি, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবসহ বিভিন্ন বন্ধুগ্রুপ এটি করেও ফেলেছে। এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস), রোটারেক্ট ক্লাব, রোভার স্কাউট, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, সোনালী দল, শিক্ষক সমিতি, হাসিমুখসহ আরো বেশ কিছু জেলা সমিতি ইফতার মাহফিলের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইফতার মাহফিলের এমন আয়োজন সম্পর্কে মেহেদী হাসান বলেন, পাপ মোচন আর সৎ কাজ করার সুর্বণ সুযোগ এনে দিয়েছে পবিত্র রমজান। এক অনাবিল শান্তি ও চিরস্থায়ী মুক্তির পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান প্রতি বছরই আমাদের সামনে হাজির হয়। কিন্তু প্রতি বছরই এর আহবান থাকে চিরন্তন। হিংসে বিদ্বেষ দূরে রেখে মিলেমিশে সারাটা বছর জুড়ে যেন থাকতে পারি, তারই পথকে সহজ করে দিয়েছে রমজান মাসের এমন আয়োজন।

আনসারী নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পড়াশোনার তাগিদে পরিবার পরিজন ছেড়ে আমরা ক্যাম্পাসে থেকে রমজান পালন করছি। সবাই একসাথে রোজা রাখা, সেহরী করার মাধ্যমে কোনভাবে মনেই হয় না পরিবারের বাহিরে আছি। রমজানের মত সারাবছর জুড়েই যেন আমরা এভাবে থাকতে পারি আল্লাহ তা’আলা সেটার জন্য আমাদের তওফিক দান করুন।