জিলকদ মাসের স্বাভাবিক আমল ও ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:জিলকদ মাস মর্যাদার মাস। হিজরি বছরের ১১তম মাস এটি। কুরআনের ঘোষিত সম্মানিত চার মাসের একটি জিলকদ। যে কোনো রক্তপাতমূলক কাজই এ মাসে হারাম। বিভিন্ন কারণে ইসলামের ইতিহাসে এ মাসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ ৪ মাসের ধারাবাহিক ইবাদতের পর পুনরায় ইবাদত-বন্দেগির প্রস্তুতি নিতে সাময়িক বিশ্রাম ও সাধারণ ইবাদতের মাস হলো জিলকদ। এ মাসেরও রয়েছে কিছু স্বাভাবিক আমল ও ইবাদত। আর ঐতিহাসিক কিছু ঘটনার জন্য জিলকদ মাস বিখ্যাত।

মাসটির স্বাভাবিক আমল-ইবাদত ও ঐতিহাসিক সংক্ষিপ্ত ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলো-জিলকদরে স্বাভাবিক আমল ও ইবাদত
- এ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা পালন করা।
- নিয়মিত আমল আইয়ামের বিজের রোজা ১৩, ১৪ ও ১৫ জিলকদ পালন করা।
- সপ্তাহের নিয়মিত আমল সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা পালন করা।
- বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত ও সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করা।
- সম্ভব হলে ওমরা পালন করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ জিলকদ মাসেই ওমরাহ পালন করেছেন।
- হজের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাসও এটি।
- আত্মত্যাগের ইবাদত কুরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

এ মাসের ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনাসমূহ
- কুরআনের ঘোষিত হারাম ৪ মাসের একটি হলো জিলকদ। তাই যুদ্ধবিগ্রহসহ যে কোনো রক্তপাতমূলক ঘটনা এ মাসে নিষিদ্ধ।
- এ জিলকদ মাসের প্রথম দিনই ইসলামের প্রথম সন্ধি ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার সন্ধি সংঘটিত হয়।
- এ মাসেই ঐতিহাসিক বাইয়াতে রেদওয়ান প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
- এ মাসেই হজের বিধান এসেছে। ৮ জিলকদ মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ পালনকে ফরজ করা হয়েছে।
- হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও ঈসা আলাইহিস সালাম জিলকদ মাসের ২৫ তারিখ জন্ম গ্রহণ করেন।
- ঐতিহাসিক তথ্য মতে জানা যায় যে, ২৫ জিলকদ পবিত্র নগরী মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফের প্রথম ভিত্তি স্থাপিত হয়।
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরি সপ্তম বছরের জিলকদ মাসে প্রথম ওমরাহ পালন করেছিলেন।
- পরবর্তীতেও এ জিলকদ মাসেই বাকি ওমরাহগুলো সম্পন্ন করেছিলেন।
- বর্তমান সময়েও অধিকাংশ হজ পালনকারীরাও জিলকদ মাসেই ওমরাহ পালন করে থাকেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলকদ মাসে পরিপূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করে হজের মাস ও মহররমের রোজা এবং ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। জিলকদ মাসে যাবতীয় অন্যায় ও অনাচার থেকে বিরত থেকে জিলকদ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। জিলকদ মাসের স্বাভাবিক আমল ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।