ইসলামিক ডেস্ক:মানবজীবন একটি মহাসফর। জন্মগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দুনিয়ার জীবন শুরু হয়। এরপর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দুনিয়ার জীবন শেষ হয়ে আরেকটি জীবন শুরু হয় যা কিয়ামত পর্যন্ত চলবে। এটি হলো বারজাখ জীবন বা অন্তর্বর্তীকালীন সময়, আখিরাত তার চূড়ান্ত গন্তব্য। পরকাল হলো চিরস্থায়ী। তাই মুমিন বা বিশ্বাসীদের জীবনে হারানোর কিছু নেই, হারানোর ভয়ও নেই, হতাশাও নেই। প্রয়োজন শুধু প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি পর্যায়ে সব অবস্থায় যথাযথ কর্মটি সম্পাদন করা। যা সব মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হবে।
জীবনযুদ্ধের পরীক্ষায় সফলতার পথ হলো ধৈর্য ও মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো, সুসম্পর্ক বজায় রাখো, আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সহিত আছেন।’ (সুরা:-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩)।
আপনি যত বেশি সফল হবেন, লোকেরা আপনার বিরুদ্ধে তত বেশি ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করবে। তাদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন কিন্তু মনে রাখবেন, সর্বশক্তিমান থেকে উচ্চতর কোনো শক্তি নেই। আপনার যদি তাঁর সুরক্ষা থাকে তবে কেউ আপনার ক্ষতি করতে পারবে না। শুধু তাঁর ওপর ভরসা করুন।
যাঁরা উপর্যুক্ত অর্থে ধৈর্য ধারণ করবেন, তাঁদের জীবনে পূর্ণতা ও সফলতা অনস্বীকার্য। পরিপূর্ণ ধৈর্যই মানবজীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে। আমাদের উচিত সব অনভিপ্রেত অবস্থায় যেকোনো অযাচিত পরিবেশ ও অনাহূত পরিস্থিতিতে নিজেকে সংযত রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়া। তবেই আল্লাহর সাহায্য আমাদের সাথি হবে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গী হবেন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আমিন।