ইসলামিক ডেস্ক: আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। পবিত্র এ মাস সমগ্র মুসলিম উম্মাহ'র জন্য বরকত ও নাজাতের মাস, তাই সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে পরম করুণাময় রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে। এ মাসে সিয়াম সাধনের মধ্যে দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আত্নার পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষনে নিয়োজিত রাখতে পারাটাই আমাদের সার্থকতা।
ইসলামিক ডেস্ক: আমরা সব সময় সুন্দর এবং পরিপাটি করে জীবন যাপন করতে পছন্দ করি। তবে আমাদের জীবনে যেকোনো সময় যে কোন বিপদ ঘটতে পারে হঠাৎ করে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই আস্থা রাখতে হবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর। তাহলে দুশ্চিন্তা ও দুঃখ আপনি কাটিয়ে উঠবেন।
ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজান আমাদের দুয়ারে সমাগত। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাময় ও গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাস উপলক্ষে যেখানে জিনিসপত্রের দাম কমায় ও সরবরাহ বৃদ্ধি করে আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র। আমরা বাংলাদেশে বৃহত্তম মুসলিম দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি আর ভেজাল খাদ্যের দাপটে প্রচণ্ডভাবে হিমশিম খাচ্ছি। অবাধে দাম বাড়ানো হচ্ছে এবং সৃষ্টি করা হচ্ছে কৃত্রিম সঙ্কট। মুনাফার লোভে অমানবিক ও প্রাণহানিকর ভেজালে আক্রান্ত খাদ্যে সয়লাব করা হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজার-মার্কেট।
ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামের সব সময় হালাল উপার্জনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কারণ হালাল উপার্জনই হলো শ্রেষ্ঠ উপার্জন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা হালাল হারাম বিবেচনা না করে এমনভাবে সম্পদ উপার্জন করছি সেটি হালাল না হারাম সেগুলো ভাবছি না। বাস্তবিক অর্থে বর্তমান সমাজের মানুষের ধন সম্পদকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজান আমাদের দুয়ারে সমাগত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ২৩ বা ২৪ মার্চ। তবে রমজান শুরুর সময় ২৪ মার্চ ধরে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো.আনিছুর রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসলামিক ডেস্ক: আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (২৬ রজব) শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। মিরাজ রাসূল সা:-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি মুজিজা। মিরাজের এ মুজিজা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ এবং মহিমান্বিত। মুহাম্মাদ সা:-এর দু’টি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা অন্য কোনো নবীর ভাগ্যে হয়নি। দুনিয়াতে এ মিরাজের ঘটনা এবং আখিরাতে মাকামে মাহমুদ ও শাফায়াত। রাসূল সা:-এর জীবনে দু’টি ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর একটি মিরাজ। অন্যটি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত। মিরাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ সা:-কে যে সম্মাননা দিয়েছেন, এ সম্মাননা মাখলুকাতের মধ্যে আর কাউকে দেয়া হয়নি। একজনের জন্য একবারই এ মিরাজের আয়োজন করা হয়েছে।
মিরাজকে মিরাজ এ জন্যই বলা হয়, মিরাজ অর্থ সিঁড়ি। মসজিদে আকসা থেকে বের হওয়ার পর রাসূল সা:-এর জন্য জান্নাত থেকে সিঁড়ি আনা হয়েছিল এবং এর মাধ্যমেই তিনি আসমানে পৌঁছেছেন।
কেউ কেউ বলেছেন, মিরাজের অর্থ চড়া, আরোহণ করা বা উঁচুতে ওঠা। একইভাবে মিরাজ তথা সিঁড়ি বা সোপানকেও বলা হয়। রাসূল সা: যেহেতু ওই রাতে ভূমণ্ডলের এ গৃহবসতি ছেড়ে সাত আকাশ, সিদরাতুল মুনতাহা এবং এ থেকেও আরো উঁচুতে উঠে আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনগুলো দেখেছেন সে জন্য এ মহিমান্বিত ও গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণকে মিরাজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
শবে মেরাজের দিন বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।