কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কর্মযজ্ঞকে সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করেছিঃ ব্যারিস্টার শেখ তাপস

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞকে সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ১ম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে এবং কোরবানির পশুর ১১টি হাটের মধ্যে ৭টি হাটের বর্জ্য ইতোমধ্যে শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে ও বাকী হাটগুলোর বর্জ্যও আজ রাতের মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানান ঢাদসিক মেয়র।

আজ মঙ্গলবার (১৮) জুন বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে উৎপন্ন/সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণে সামষ্টিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "১ম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ আমরা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি। সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা ১ম দিনে এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং যেহেতু আজকেও কোরবানি হয়েছে, সেজন্য এ কাজ চলমান রয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক পশুর বর্জ্য অপসারণে সময়ের মানদণ্ডে আমরা ১ম, ২য় ও ৩য় নির্ধারণ করেছি। এই যে প্রতিযোগিতা তা একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা। সুতরাং, বর্জ্য অপসারণের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞকে আমরা সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করতে পেরেছি।"

এ সময় কয়েকটি জায়গায় বর্জ্য পড়ে থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "কোরবানির পশু জবাই বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। একেকজন একেক সময়ে তা করে থাকে। সুতরাং, আমরা পরিষ্কার করে আসার পরে অনেকেই জবাইকৃত সেসব পশুর বর্জ্য বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখেন। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা থাকে। এছাড়াও অনেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্যের সাথে হাটের বর্জ্য মিলিয়ে ফেলেন। তাছাড়া ২য় ও ৩য় দিনেও অনেকেই কোরবানি থাকে। কিন্তু শতভাগ পরিষ্কার হওয়ার পরেই আমরা তা ঘোষণা দেই এবং ১ম দিনের বর্জ্য বেশ কয়েকটি জায়গায় পড়ে ও তা অপসারণ করা হয়নি, সে বিষয়টি সঠিক নয়।"

এ সময় হাটের বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এক সময় হাটের বর্জ্য অপসারণে সপ্তাহ লেগে যেতো। আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণে আলাদা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি এবং সে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে ৭টি হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। হাটের বর্জ্য অপসারণে ইজারায় সুনির্দিষ্টভাবে শর্তাবলী উল্লেখ থাকলেও অনেকের মাঝে গাফিলতি থাকে। তারপরেও আমরা নির্ধারিত ৭২ ঘন্টা সময়ের পূর্বেই তা সম্পন্ন করতে পারব। ইনশাআল্লাহ, বাকী হাটগুলোর বর্জ্যও আজ রাতের মধ্যে অপসারিত হবে।"

এ সময় তিনি ঢাদসিক'র সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দের সাথে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুন্দর নগরী উপহার দেওয়ায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশেষত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।