এগ্রিলাইফ ডটকম: দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন গবেষককে রিসার্চ গ্রান্ট প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি)। গতকাল ওয়াপসা-বিবি কার্যালয়ে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে ৯ গবেষকের প্রত্যেকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি মসিউর রহমান। প্রকল্প প্রতি অনুদানের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা মাত্র।
পুরস্কৃত ৯জন গবেষক হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির রহমান ও পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আবদুল সায়িদ সিদ্দিকী; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপিডেমিওলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের উত্তমা আচার্জী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী এন্ড পোল্ট্রি সাইন্স বিভাগের নিলঞ্জনা ভৌমিক; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন, সার্জারি এন্ড অবসট্রিকস বিভাগের মোঃ আরাফাত জামান; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সুমাইয়া সুলতানা লাবণ্য; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সাইন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের নূরতাজ লাবণ্য; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের মোঃ সাইফুর রহমান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের মোসাঃ নাহিদা আক্তার।
মসিউর রহমান বলেন, বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির কথাও ভাবছেন। তাছাড়া দেশীয় মুরগির জাত সংরক্ষণ, সম্ভাবনাময় জাতগুলোর উন্নয়ন, খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, রোগবালাই দমন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি ডিম, মুরগির মাংস ও পোল্ট্রিজাত খাদ্যপণ্যের নিরাপদতা রক্ষা করা এখন অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে কারণেই গবেষণার মান ও পরিধি বাড়ানোও জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সরকার ২০৩০, ২০৪১ ও ২১০০ সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান বলেন, দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দু’টি প্রকল্প প্রস্তাবনা শর্তাবলীপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২৩টি প্রকল্পকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়নের আওতায় নেয়া হয়- যার মধ্য থেকে ৯টি প্রকল্পকে মূল্যায়ন কমিটি পুরস্কারের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছেন।
ওয়াপসা-বিবি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন- পোল্ট্রি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণাকে সমৃদ্ধ করা ও পোল্ট্রি গবেষণায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা আশাকরছি আগামী বছর আরও অধিক সংখ্যক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী পোল্ট্রি বিষয়ক গবেষণায় আগ্রহী হবেন এবং গ্রান্টের জন্য আবেদন জমা দিবেন। ডা. বিপ্লব বলেন- দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পোল্ট্রি বিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত যে কোন নিয়মিত শিক্ষার্থী- গবেষণা প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। পোল্ট্রি ব্রিডিং, পোল্ট্রি ও খামার ব্যবস্থাপনা, পোল্ট্রি স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, ডিম ও মাংসের নিরাপদতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পগুলোকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।
২০২৪ সালে নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধায়কগণ হচ্ছেন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. সায়েম উদ্দীন আহমেদ; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক ইসলাম; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.বি.এম সাইফুল ইসলাম; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ.বি.এম রুবায়েত বোস্তামী; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক কায়েস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.এম মোজাফফর হোসেন।
রিসার্চ গ্রান্ট এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ওয়াপসা-বিবি’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিরাজুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফয়েজুর রহমান এবং ওয়াপসা-বিবি রিসার্চ গ্রান্টের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান- প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিঃ, রেনাটা লিমিটেড ও এ্যভন এ্যানিমেল হেলথ -এর প্রতিনিধিবৃন্দ।