রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে সহিংসতা পরিহার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের আহবান

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে সহিংষতা পরিহার ও শান্তিপুর্নসহবাস্থান নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছেন।

০৬ আগষ্ট ২০২৪ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি, সদ্য পদত্যাগী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হামলা, লুটাপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালগু সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন কলকারখানা, অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বাসাবাড়ীতে হামলা, মন্দির, উপাষনালয়ে ভাঙ্গচুর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ইতিমধ্যেই মহামান্য রাস্ট্রপতি, সেনা প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগনসহ অনেক রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজ এর প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই শান্তিপুর্নসহবাস্থান নিশ্চিত, শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও সহিংষতা পরিহারের আহবান জানিয়েছেন। নতুন অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পেশাদার আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে অমস্ত অরাজকতা ও দৃস্কৃতকারীদের নৈরাজ্য ও লুটপাট থেকে শান্তিপ্রিয় জনগনের জানমাল রক্ষা করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে এই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির আরও আরও বাড়বে। এবং সার্বিক অর্থনীতি আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে যা এদেশের জনগনের জন্য কখনও কাম্য নয়।

এভাবে নৈরাজ্য, অরাজকতা ও বিশৃংখলা চলতে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অহিংষ আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ১৬ বছরের যে একানায়কতন্ত্রের অবসান হয়েছে, তা ম্লান হয়ে যাবে এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে। এবং এ সুযোগে তৃতীয় কোন শক্তি উত্থানের মাধ্যমে ছাত্র জনতার এই রক্ষক্ষয়ী অর্জন ধুলিস্যাত হয়ে যাবে। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না।

এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি। একই সাথে এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থাকার জন্য সকলকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি