এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল-এর উদ্যোগে, সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহী ও বেটার নেচার এন্ড সোসাইটি-এর সহোযোগিতায় পরিবেশ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃক্ষের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ সোমবার ২১ অক্টোবর সকাল ৮.০০ ঘটিকায় প্রত্যাশা আইডিয়াল একাডেমি, খড়খড়ি, চন্দ্রিমা, রাজশাহী প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
এই মহতী অনুষ্ঠানে ৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া এবং তাদেরকে বৃক্ষের যত্ন ও পরিচর্যার গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুজ্জামান শাহ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী।
তিনি তার বক্তব্যে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোবাশ্বের আলী, প্রতিষ্ঠাতা, প্রত্যাশা আইডিয়াল একাডেমি, রাজশাহী, এবং ড. মো. শফিকুল ইসলাম, জি.এম. প্লানেট ফিড, ঢাকা।
তারা তাদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের কাছে পরিবেশ রক্ষা এবং বৃক্ষ রোপণের গুরুত্বের উপর জোর দেন। অনুষ্ঠানের প্রোগ্রাম চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. মো. গোলাম মাওলা, ডিরেক্টর, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল। অন্যান্য প্রোগ্রাম পরিচালনায় সহযোগিতা করেন সি.পি. হাসিবুল হাসান নান্নু, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, ড. মো. হেমায়াতুল ইসলাম আরিফ, আই.পি.পি., রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এবং মো. বাব্লু হোসেন, খড়খড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রত্যাশা আইডিয়াল একাডেমির ৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ বিতরণ করা হয়, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবেশ সচেতনতার অংশ হিসেবে গাছের গুরুত্ব ও প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়াও প্রত্যাশা আইডিয়াল একাডেমির প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা তাদের নিজ হাতে চারা রোপণ করেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজন করতে প্রত্যাশা আইডিয়াল একাডেমির শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, এবং রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল-এর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে কাজ করেছেন। এই কার্যক্রমটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।