ফোকাস ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে পাটপণ্যের প্রদর্শনী কর্ণার করার নির্দেশনা দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন। উপদেষ্টা বলেন,' এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পাটপণ্যের যথেষ্ট চাহিদা আছে। পরিবেশ দূষণরোধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতার কারণে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। দুবাই, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ পাটপণ্য ব্যবহার ও আমদানিতে আগ্রহ জানিয়েছে। বর্তমান সরকার পলিথিনের বদলে পাটের ব্যাগ চালুর উদ্যোগে দেশের অভ্যন্তরে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। '
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত পাট অধিদপ্তর পরিদর্শনের পর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।
দেশে পাটের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'আমাদের দেশে প্রায় ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজের চাহিদা রয়েছে সেখানে প্রায় একহাজার পাঁচশত মেট্রিক টন বীজ দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। পরিকল্পনা ও প্রকল্পের মাধ্যমে পাটের বীজ উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং পাট থেকে তৈরী সুতারও উৎপাদন বাড়াতে হবে। '
পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিঃ সচিব) জিনাত আরা এ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, প্রকল্প পরিচালক দীপক কুমার সরকার, পরিচালক সত্যকাম সেন, উপপরিচালক-সহকারী পরিচালকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।