সমসাময়িক নানা ইস্যুতে ব্যতিক্রমী মানব বন্ধন করলেন সচেতন সাধারণ নাগরিকরা

রাজধানী প্রতিনিধিঃ সংসদ ভবনের দক্ষিণের ফুটপাথে মানব বন্ধন করলেন সচেতন সাধারণ নাগরিকরা। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিসহ সমসাময়িক কয়েকটি বিষয়ে তাদের মনের কথা জানানোর জন্য এ মানব বন্ধনের ব্যতিক্রমী আয়োজন বলে জানান সচেতন সাধারণ নাগরিকরা। সড়ক এবং সেতুর টোল ইজারা না দেয়া, সরকারি কর্মচারীদের কাজের রেটিং করা, শিশু শ্রেণী থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থা, সামাজিক সৌহার্দ বা ভদ্রতা, ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকে রাখা, সরকারি অপচয় রোধ, ইত্যাদি ব্যাপারে তাঁদের মতামত জানাতেই তাঁরা রাস্তায় নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন।

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে ব্যতিক্রমী এ মানব বন্ধনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সচেতন সাধারণ নাগরিকরা অংশগ্রহন করেন।

মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে সচেতন সাধারণ নাগরিকদের একজন জনাব এখলাসুল হক বলেন, এটি কোনো রকম রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচি নয়। এখানে কোনো রকম মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়নি। এখানে কোনো রকম স্লোগান বা আলোচনা সভাও হয়নি। এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলি আমাদের ১৮ কোটি মানুষের অন্তরের অভিব্যক্তি আর সেটিই আমরা ফুটিয়ে তুলেছি মাত্র। আমরা আশা করি সরকারী নীতি নির্ধারক মহল বিষয়গুলিকে গভীরভাবে বিবেচনা করবেন।

মানব বন্ধনে অংশ নেয়া নাগরিকদের একজন ডা. এসএমএফবি আব্দুস সবুর তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, নৈতিক চেতনার উন্নতিতে আমাদের মনোযোগ কম। ফলে বেড়েছে বঞ্চনা, অন্যায় ও বৈষম্য। অবকাঠামোগত উন্নতি হচ্ছে ঠিক, কিন্তু মানুষের মানবিক অবস্থা নাজুক। সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি যে বিষয়গুলো প্রয়োজন, সেগুলো দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

মো: সাজ্জাদুর রহমান (পলাশ) বলেন, জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে একই লক্ষ্যে যেদিন আমরা কাজ করে যেতে পারব, সেদিনই সত্যিকার অর্থে বলা যাবে আমরা একটি সত্যিকারের স্বাধীন দেশের নাগরিক।

জনাব হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়নে সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের সচেতন সকল নাগরিকদের এখনই এই করুণ পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে সোচ্চার হতে হবে।

প্রায় ঘন্টা কালব্যাপী চলা এ মানব বন্ধনে সমাজের সকল স্তরের উপস্থিত সাধারণ নাগরিকরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা বলেন ছোটো পরিসরে হলেও এ ধরনের মানব বন্ধন সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে মনে করেন উপস্থিত সচেতন নাগরিকরা।