তীব্র তাপপ্রবাহে পোল্ট্রি খামারীদের জন্য কিছু টিপস্

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: টানা তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। কমতে শুরু করেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। প্রচণ্ড গরম থেকে খামার রক্ষায় পোল্ট্রি খামারীদের জন্য সহজ কিছু টিপস্ দিয়েছেন স্পেক্ট্রা হেক্সা ফিডস্ লি:-এর ডিজিএম (পোল্ট্রি ও ক্যাটেল) ডা. মোহাম্মদ আল্লামা ইকবাল ।

তাপ প্রবাহে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনায় করণীয়
১. হাঁস-মুরগি ঘামের মাধ্যমে দেহের তাপ কমাতে পারেনা। তাই তাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে যেকোন উপায়ে ঘরের তাপমাত্রা কমাতে হবে। এজন্য -
# ঘরের চালে চট/বস্তা/কাপড় বিছিয়ে দিয়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
# সম্ভব হলে ঝর্ণা ব্যবস্থার মাধ্যমে চাল ঠান্ডা রাখতে হবে।
# ঘরের ভিতরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
# সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি দু একটি প্যাডল স্ট্যান্ড ফ্যান ব্যবহার করে ভিতরের গরম বাতাস বের করে দিতে হবে।
# রোদ যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
# প্রয়োজনে ঘরের ভিতর পানি স্প্রে করতে হবে।
# ঘরে মুরগির ঘনত্ব অন্য সময়ের চেয়ে কমিয়ে দিতে হবে।
# লোড শেডিংএ জেনারেটর চালিয়ে ফ্যানের ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে।
# ঘরের চারপাশে জমিতে ঘাস লাগাতে হবে যাতে বাইরের রৌদ্রতাপ শোষিত হয়ে যায় এবং ঘরে না ঢুকে।
# ঘরের উপর ছায়াদানকারী গাছ এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে বাতাস চলাচলে বিগ্ন না ঘটায়।

২. খাদ্য ও পানি ব্যবস্থপনা:
# দিনের তুলনামূলক ঠান্ডা সময় অর্থাৎ ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুরগিকে খাবার সরবরাহ করতে হবে।
# দুপুর ১২ টার পর থেকে বিকেল ৪/৫ টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ বন্ধ রাখা উত্তম। দিনের শেষভাগে
তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে খাবার সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে এবং রাত্রি ১০/১১ টা পর্যন্ত বিশেষ
যত্নে খাবার খাওয়াতে হবে, যাতে মুরগির পুষ্টি চাহিদা পরিপূর্ণ হয়।
# অন্যান্য সময়ের চেয়ে পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।
# ৩/৪ ঘন্টা পরপর স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি পাত্রে সরবরাহ করতে হবে। প্রয়োজনে পানির পাত্রে ২/১ খন্ড বরফ দেয়া যেতে পারে।
# প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা করে খাবার পানিতে লেবুর রস/ভিটামিন সি ব্যবহার করা ভাল।
# সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন খাবার পানিতে (২ ঘন্টা করে) orsaline N ব্যবহার করা যেতে পারে।

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিকটস্থ প্রাণি চিকিৎসকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথাও বলেছেন ডা. মোহাম্মদ আল্লামা ইকবাল।