“রাজশাহীতে জাতীয় বালাইনাশক নীতির ওপর আঞ্চলিক ভ্যালিডেশন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত"

মো. এমদাদুল হক" আজ ১১ নভেম্বর রোজ সোমবার সকাল ১০ টায় ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিংক এগ্রিকালচারাল পলিসি এ্যাকটিভিটি এর সহযোগিতায় ন্যাশনাল পেস্টিসাইড পলিসি লিংক বিষয়ক ভ্যালিডেশন আঞ্চলিক কর্মশালা রাজশাহীর চন্ডিপুর হোটেল এক্স ইনডেক্স প্লাজা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাহমুদুল ফারুক-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল আলম। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ; উপপরিচালক (এলআর) ড. মোঃ আরিফ মাহমুদ; অতিরিক্ত পরিচালক, বালাইনাশক প্রশাসন ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ এস এম সোহরাব উদ্দিন।

কর্মশালার নীতি কার্যকলাপ সম্পর্কে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করে বালাইনাশক নীতির চিহ্নিত ইস্যুগুলির নিয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব (ইআরডি) এবং সরকারের লিয়াজোঁ উপদেষ্টা নীতি কার্যক্রমের ড. পেয়ার মোহাম্মদ। তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বালাইনাশক পরীক্ষার জন্য ল্যাব স্থাপন প্রতিটি বালাইনাশকের মাননিয়ন্ত্রন কাজ করা হবে ।

কর্মশালায় কিনোট স্পিকার হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব হাসান ইমাম, উপপরিচালক (রপ্তানী)।

প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল আলম বলেন, আমাদেরকে বালাইনাশকের গুনগত মান ব্যবস্থাপনা, মান নিয়ন্ত্রণ, শ্রেণি, উৎস, প্রচার, বাজার মনিটরিং এবং ব্যবসার প্রসার ও ডিলারশীপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান। বালাইনাশক উৎপাদন এবং ভেজাল ও নকল বালাইনাশক ক্রয় বিক্রয় নিয়ন্ত্রনের জন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান। কর্মশালায় ভাল বালাইনাশক বিপণন ও উৎপাদনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে উন্মক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন (এন্টামোলজি, প্ল্যান্ট প্যাথলজি ও এগ্রোনমি) বিভাগের প্রফেসরগণ, রাজশাহী, নাওগাঁ, নাটোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিএডিসি, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, বিএমডিএ, হর্টিকালচার সেন্টার, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান),অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি), উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি বিপণণ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পেস্টিসাইড কোম্পানীর কর্মকর্তা, বীজ ডিলার, বীজ উৎপাদনকারী, কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের ৫০ প্রায় জন কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।

বালাইনাশকের কার্যকরী ব্যবহারবিধির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক পত্রিকা ও অন্যান্য গণমাধ্যেমে প্রকাশ করা হলে সবাই উপকৃত হবে।