মোঃ গোলাম আরিফঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতির মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় হর্টিকালচার সেন্টার, টেবুনিয়া, পাবনা’র অফিস প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আদা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চমূল্যের মসলা ফসল। আমাদের দেশে যে পরিমাণ আদা উৎপাদন করা হয় তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলে বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। একমাত্র বস্তায় আদা চাষের মাধ্যমেই আমরা আমাদের পারিবারিক চাহিদা মিটাতে পারি।
বস্তায় আদা চাষের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। যে কোন পরিত্যাক্ত জায়গা, বসতবাড়ির চারদিকে ফাঁকা জায়গা, ছায়াযুক্ত স্থান, বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দায় সহজেই চাষ করা যায়। একই জায়গায় বার বার চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে সাধারণত কন্দপঁচা রোগ হয় না, যদি কখনো রোগ দেখা যায় তখন গাছসহ বস্তা সরিয়ে ফেললে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ এ. এফ. এম. গোলাম ফারুক হোসেন, উপপরিচালক, হর্টিকালচার সেন্টার, টেবুনিয়া, পাবনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ ড. মো: জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা; কৃষিবিদ মোঃ ইসমাইল হোসেন, উপপরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকে কার্যালয়, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া।
এসময় অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে মসলা ফসল চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব; মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; বস্তায় আদা, হলুদ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, মরিচ চাষ পদ্ধতির কারিগরি আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরজিনা খাতুন ও লুৎফর রহমান বস্তায় আদা চাষের সফলতার গল্প ও সম্ভাবনার দিক উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে হর্টিকালচার সেন্টার টেবুনিয়া, কৃষি তথ্য সার্ভিস, পাবনা আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি ও কৃষক-কৃষাণীসহ ১৮০ জন উপস্থিত ছিলেন।