জলবায়ু ঝুঁকি বীমার নীতি ও অবকাঠামো তৈরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের সাথে অক্সফ্যামের আলোচনা

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় 'জলবায়ু ঝুঁকি বীমা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা ও দেশব্যাপী এই ধরণের বীমা ব্যবস্থা সরকারি পর্যায়ে পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য সহযোগিতা, আইনগত ও নীতিগত কাঠামো ও কৃষকের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আয়োজনে আজ ৪ মে, শনিবার রাজধানীতে 'জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জলবায়ু ঝুঁকি বীমা সংলাপ' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এবং ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখ বলেন, 'দুর্যোগকালীন ত্রাণ এবং এই জলবায়ু ঝুঁকি বীমা; দুটিই একসাথে চলমান রাখা দরকার। বাংলাদেশে ইনস্যুরেন্স নিয়ে বড় ধোঁয়াশা রয়েছে। সবাই ধরেই নেয় ইনস্যুরেন্স মানেই প্রতারণা। দেশে জলবায়ু ঝুঁকি বীমা নিয়ে অনেকগুলো প্রকল্প চলছে উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে। কিন্তু প্রকল্প শেষে দেখা যায় এগুলোর কেউ আর দায়িত্ব নেয় না। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কিন্তু দায়িত্ব নিতে পারে। দেশে যে ৪৮টি বীমা কোম্পানী আছে, তারা কিন্তু এগুলোর দায়িত্ব নিতে পারে। সরকার দেখভাল করতে পারে। ফসল, গবাদিপশু, মৎস্য বীমার আওতায় আনা হলেও বন্যাকে কেউ নিতে চায় না। কারণ বন্যায় আমরা শীর্ষে। তাই জলবায়ু ঝুঁকি বীমার ক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করতে হবে।'

এছাড়াও আলোচনায় বক্তারা দেশেব্যাপী জলবায়ু ঝুঁকি বীমার মত কার্যকরী একটি আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি পথনির্দেশিকা তৈরি করার বিষয়ে একমত হন। এছাড়াও জ্ঞানগত সচেতনতা বৃদ্ধি, ফসল ছাড়াও কৃষিনির্ভর পরিবারের অন্যান্য সম্পদ বীমার আওতাভুক্ত করা, দুর্যোগ ও দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অরিতিরক্ত সচিব আলী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং নেতাই চন্দ্র দে। উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স একাডেমি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।