মো: আমিনুল ইসলাম: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ মধুপুর গড় অঞ্চলের অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ক্লায়মেট স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রযুক্তি ব্যবহার শীর্ষক কর্মসূচি, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ডিএই, রাজশাহীর সহযোগিতায় প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত ০২ জুন ( রবিবার) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ডিএই, রাজশাহীর হলরুমে অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকার উপর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রগতিশীল কৃষকদের দুই দিনব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
প্রশিক্ষণে রাজশাহীর বিভাগীয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আ.ফ.ম. মনজুরুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসআরডিআই ঢাকা বিভাগীয় গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান এবং রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোছা. ফাহমিদা নাহার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাজশাহীর বিভাগীয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. নূরুল ইসলাম।
অতিথিগণ বলেন, মাটির অম্লত্ব দূরীকরণে অতিরিক্ত রাসয়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। মাটিতে সেচের জল বা নিষ্কাশিত পানি অথবা বৃষ্টির পানির সাথে মাটির ক্ষার বা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ধুয়ে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও ঠান্ডা আবহাওয়ায় মাটিতে মাত্রাতিরিক্ত জৈব পদার্থ থাকলে তা অসম্পূর্ণ ভাবে পঁচে মাটিতে অম্লত্ব বাড়িয়ে দেয়। জৈব সার কম প্রয়োগের ফলেও মাটিতে অম্লতা বাড়ে। অম্লত্বের তীব্রতা বেশি হলে সংবেদনশীল মূল রোমের ঝিল্লিতে বিষক্রিয়া হয়ে শিকড়ের ব্যবস্থাপনা ও ফসলের বৃদ্ধি অনেক ব্যহত হয়। এ অম্লতা দুর করার জন্য কাঠের ছাই বা তুষের টাটকা ছাই ,উন্নত মানের পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে এবং মাটির পিএইচ ৫.৫ এর কম হলে ডলোচুন দিয়ে মাটির শোধন একান্ত প্রয়োজন। এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।