বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্য চাষীদের করনীয়

কৃষিবিদ মো: সোহান খান: দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা পুষ্টির চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচনে মৎস্য খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায়, মৎস্য খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যদিও এই ক্ষয়ক্ষতি সম্পুর্নরূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে কিছুটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে, এর মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।

বন্যার পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে, এই সময় আমাদের প্রোটিনের অন্যতম উৎস মাছকে রক্ষা করার জন্য বা বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্য চাষীদের করনীয় সম্পর্কে বলতে চাই।

প্রথমে পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙ্গে গেছে সেগুলো দ্রুত মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। বন্যার পানির সাথে বিভিন্ন অচাষযোগ্য মাছ যদি প্রবেশ করে, তখন ঘন ঘন জাল টেনে মাছগুলো তুলে ফেলতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন করে পোনা মজুদের পূর্বে প্রতি শতকে এক কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এর পরে মৎস্য চাষীরা ভালো জীবাণুনাশক ArgilNe Bangladesh কর্তৃক বাজারজাতকৃত (BKC+ PLUS) "বিকেসি প্লাস" ব্যবহার করতে পারেন।

স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে, প্যাকেজ ভিত্তিক প্রযুক্তি গ্রহন পূর্বক মাছ চাষ করতে হবে। ভালো জাতের বড় আকারের পোনা মজুদ করে নিয়মিত সুষম খাদ্য দিন। যেহেতু আমরা মাছ চাষের উপযুক্ত সময়টা পার করে এসেছি পরে আমার বন্যার সম্মুখীন হয়েছে সে ক্ষেত্রে আমাদের শীতের পূর্বে মাছ গুলোকে বড় করতে হলে, ArgilNe Bangladesh কর্তৃক বাজারজাতকৃত গাট প্রোবায়োটিক "সাকানা প্রো" (Sakana Pro) ব্যবহার করলে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত নিশ্চিত হবে।

পুকুরের পানি ও মাছের বৃদ্ধি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বন্যা কবলিত মাছে রোগবালাই দেখা দিলে স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর এর সাথে যোগাযোগ করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ক্ষুদ্র খামারী এবং ব্যবসায়ী, গ্রামীণ উদ্যোক্তা, সকলেই এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ArgilNe, Bangladesh-এর পক্ষ থেকে বলতে চাই, সকল মৎস্য খামারী, মৎস্য বিশেষজ্ঞ, যারা মৎস্য খাতের সাথে জড়িত তারা পরবর্তী চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলা করার জন্য আসুন আমরা একসাথে কাজ করি।

মৎস্য চাষ বিষয়ক যে কোনো পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৩২৯-৭৪৮৭৩২, ০১৩২৯৭৪৮৭৩৫