বন্যা পরবর্ত্তী সময়ে পোল্ট্রি খামারীদেরকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে

কৃষিবিদ মোঃ মাহবুবুর রহমান: আমরা সকলে অবগতি আছি যে দেশে আকস্মিক বন্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে আমাদের প্রাণীসম্পদ ব্যতিক্রম নয়। এখন আমরা দেশের যে ক্রান্তিলগ্ন মোকাবেলা করছি। বন্যা পরবর্ত্তী সময়ে পোল্ট্রি খামারীদেরকে নতুন নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাত থেকে যে পুষ্টির যোগান আসে তা সচল রাখতে সরকারী বেসরকারী সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।

পুষ্টির এ যোগান পরবর্তীতে আমরা কিভাবে সচল রাখতে পারি এবং বন্যা পীড়িত খামারীদেরকে সকলে মিলে যতদূর সম্ভব এগিয়ে নেওয়াটাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। আমাদের যে সকল খামারি ভাই ও বোনেরা, ও স্টেকহোল্ডাররা এই কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন, উনারা এই পরিস্থিতির শিকার। পরবর্তীতে তারা কিভাবে এই প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করবেন সেটিই এখন মূল বিবেচ্য বিষয়।

বন্যা কবলিত এলাকায় হাঁস মুরগীর পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। যেগুলো আমাদের সরকারি পর্যায়ে থেকে আসতে পারে। পরবর্তী সময় আমাদের আরও চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলা করতে হবে, যেমন অবকাঠামোগত ও চিকিৎসাগত ইত্যাদি। এ সকল সমস্যা মোকাবেলায় সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা যারা বেসরকারি পর্যায়ে খামারীদের সহায়তা করে থাকি তারাও এগিয়ে আসবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

পরামর্শ দিয়ে হোক, উপকরণ সহায়তা দিয়ে হোক যে যার অবস্থান থেকে এটি করা যেতে পারে। বন্যা পরবর্ত্তী সময়ে পোল্ট্রি খামারীদেরকে নতুন নতুন অনেক রোগ মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো খাদ্যে টক্সিনজনিত নানা ধরনের সমস্য। এজন্য খামারীরা বিভিন্ন টক্সিন বাইল্ডার ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে যেমন ArgilNe Bangladesh কর্তৃক বাজারজাতকৃত স্পেনের বিখ্যাত নরেল কোম্পানির একটি টক্সিন বাইল্ডার "টক্সিনর" যেটি গুণে ও মানে অত্যন্ত উন্নত। এটি যুগোপযোগী ও কার্যকরী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে খামারীরা যথেষ্ট উপকার পেতে পাররবেন।

এছাড়াও খামারীরা সুষম ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণের জন্য থাইল্যান্ডের খ্যাতনামা বেটার ফার্মা থেকে আমদানিকৃত ও ArgilNe Bangladesh কর্তৃক বাজারজাতকৃত "এক্সট্রিমিক্স ভিটামিন" এবং "এক্সট্রিমিক্স মিনারেল" ব্যবহার করতে পারেন। পণ্য দুটি *ব্রয়লার, লেয়ার এবং ব্রিডারের মুরগীর সুষম বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন এবং মিনারেল-এর অভাব পূরণে বন্যা কবলিত এলাকায় হাঁস মুরগির জন্য যুগোপযোগী পথ্য হিসেবে কাজ করবে।

প্রাণিসম্পদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমরা সকলে মিলে এই লড়াইয়ের সদস্য হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব, যেন আমাদের খামারী ভাইয়েরা এই কঠিন সময় পার করে, সুদিনে ফিরতে পারে।