এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: গুণগত মানসম্পন্ন মাংস ও দুধ উৎপাদনের জন্য কোফিড একটি চমৎকার সহায়ক পণ্য। কোফিড ব্যবহারে গরুর মাংসের স্বাদ যেমন বেড়ে যায় তেমনি এর উৎপাদনীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি Cofeed ব্যবহারে দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারীরা গাভীর দুধ উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়ার ক্লিক মোড়ে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় এসব কথ্য তুলে ধরেন আরহাম এগ্রোভেট-এর জেনারেল ম্যানেজার (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) ডা. তাপস কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানে ডেইরি বিশেষজ্ঞ, খামারি, স্থানীয় বিভিন্ন ফিড মিলের মালিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা সহ প্রায় ৩৫ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
কারিগরী এ কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে Cofeed-এর বিভিন্ন গুণাগুণ ও ব্যবহার বিধি তুলে ধরে ডা. তাপস কুমার বলেন, Cofeed নিয়ম মেনে খাওয়ালে অবশ্যই গাভীর দুধ উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ বেশি হবে। অত্যন্ত সুলভ মূল্যে বাজারজাতকৃত USA থেকে আমদানীকৃত Corn feed supplement কোফিড ব্যবহার করে খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। এ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের ফলে স্বাভাবিকভাবে পালন করা গরুর চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন ডা. তাপস কুমার ঘোষ।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা: কিশোর কুমার কুন্ডু, শামিমা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আহসান হাবিব তুষার, কেএনবি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মোঃ খলিলুর রহমান, কিয়াম এগ্রো ফিড এর ডিজিএম কেএম হাসিব উল্লাহ্ খালিদ, গিনি ফিড মিলের মোঃ সোহান মাহমুদ সহ আরো অনেকে।
কর্মশালায় আগত অতিথিরা বলেনযেহেতু এটা ১০০% ন্যাচারাল ফিড সাপ্লিমেন্ট, সেহেতু আমাদের হালাল উপায়ে নিরাপদ মাংস ও দুধ বৃদ্ধিতে কোফিড একটি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের একটি পণ্য বাজারজাতকরণে আরহাম এগ্রোভেট-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কর্মশালায় আগত বিশেষজ্ঞরা।