ফরিদপুরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান'২০২৪ উদ্বোধন

আসাদুল্লাহঃ “ছাত্র-শিক্ষক কৃষক-ভাই ইঁদুর নিধনে সহযোগিতা চাই’’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল, ফরিদপুর জেলা ও সদর উপজেলার উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান- ২০২৪ উদযাপন হয়। এ উপলক্ষে রবিবার ২৭ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খমাারবাড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুরের উপপরিচালক, মোঃ শাহাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক, মোঃ মঞ্জুরুল হক।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন, কৃৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ইঁদুর মাঠের ফসল ছাড়াও গুদামজাত শস্য ঘরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র, কারেন্টেটের তার, বেড়িবাঁধসহ প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র নষ্ট করে থাকে। ইঁদুর বাংলাদেশের প্রায় ৫-৭ শতাংশ ধান এবং ৪-১২ শতাংশ গম নষ্ট করে থাকে এছাড়াও বাসাবাড়ির গুরুত্বপ‚র্ণ জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এদের প্রজনন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশী। এরা অল্প বয়সে যে কোন পরিবেশে বাচ্চা দিতে পারে। ১ জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুর বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাজেই এদের সম্মিলিতভাবে দমন করতে হবে। ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজবাড়ীর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম, শরিয়তপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন, মাদারিপুরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র।

অনুষ্ঠান শেষে ইঁদুর নিধনের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। উপসহকারি কৃষি অফিসারদের মধ্যে মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার পার্থ প্রথিম হিরা প্রথম হয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন চরভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফরিদপুর সদর ফরিদপুর। কৃষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী কৃষক হলেন শিবচর মাদারিপুরের আঃ খালেক মীরবহর।

উক্ত ইঁদুর নিধন অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা/উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিকসহ কৃষক/কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।