এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) "নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদন কৌশল" শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল, বয়রা, শম্ভুগঞ্জের প্রায় ৩৫ জন ব্রয়লার ও লেয়ার খামারিকে আধুনিক পদ্ধতিতে মাংস ও ডিম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
ময়মনসিংহ সদরের আরিফ পোল্ট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, খামারিদের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মাংস ও ডিম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেছি। উপরন্তু, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছাড়াই পোল্ট্রির খাবার মান এবং গুণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারে, সেই বিষয়ক কার্যকরী ধারণা পেয়েছি। আশা করছি, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো। পাশাপাশি, কর্মশালার সময়সীমা বেড়ে পরবর্তী সময়ে ২ দিন হতে ৩ দিন করা হবে এই আশাও ব্যক্ত করছি।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, "এই কর্মশালার মাধ্যমে ব্রয়লার ও লেয়ার খামারিরা আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তারা এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনে অবদান রাখতে পারবেন"।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খামারিদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী খামারিরা নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং মানসম্পন্ন মাংস ও ডিম উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করি। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দেশের পোল্ট্রি শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে"।