রাজশাহীতে আন্তঃখাত পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ অগ্রাধিকার প্রক্রিয়ার উপর উপ-জাতীয় কর্মশালা

মো. এমদাদুল হকঃ আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ল্যান্ডস্কেপে জলবায়ু উপযোগী জীবিকা গড়ে তোলা বিসিআর প্রো পরিবেশ বিভাগ, পরিবেশ ভবন আগারগাঁও, ঢাকা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃখাত পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ অগ্রাধিকার প্রক্রিয়ার উপর উপ-জাতীয় কর্মশালা শিরোনামে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: সাইফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাহমুদুল ফারুক।

বিসিআরএল প্রকল্প এবং পরিচালক রাসায়নিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিবেশ জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মিসেস রাজিনারা বেগম সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি বিপণণ, পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কৃষক ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ি ও অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।

ইন্টার-সেক্টরাল প্ল্যানিং এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রসেসের উপর মূল নোট পেপার উপস্থাপনা ঢাকা শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপে অব এগ্রোফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সয়েন্স এর প্রফেসর ডঃ মো: ফরহাদ হোসেন তার পাওয়ার পয়েন্ট আলোচনা জানান, মূলত বিশ্বব্যাপী খাদ্য, পুষ্টি ও পরিবেশ উন্নয়ন্ন জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর খাবার ও পুষ্টি সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধান করা। এই প্রকল্প পরিবেশের সমস্যা চিহিৃত করে সমাধানকল্পে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বলে জানান। পরিকল্পিত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কর্মশালা মূল উদ্দেশ্য।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: সাইফুল আলম বলেন, আমাদের কাজ করার লক্ষ্যে নির্ধারণ করতে হবে এবং এমর্মে সকলকে কাজ করতে হবে। ফসল উৎপাদনের নির্দিষ্ট লক্ষ নির্ধারন করে ফসল উৎপাদন করা গেলে জমির অপচয় হবে না এবং বাজার নিয়ন্ত্রন থাকবে কৃষক সঠিক মূল্য পাবে। কৃষি পণ্যর দাম খুব কম বেশি হবে না। কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিপণণ ও বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা ছাড়াও খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।