
ইসলামিক ডেস্ক: নিয়মিত নামাজ মানুষকে আত্মিকভাবে শক্তিশালী করে, মন থেকে অস্থিরতা দূর করে এবং শারীরিকভাবে রাখে সুস্থ ও সতেজ। নামাজের প্রতিটি রুকু, সেজদা ও দোয়া মানুষের রক্তসঞ্চালনকে উন্নত করে, মনকে করে শান্ত, এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ককে দৃঢ় করে। যিনি নামাজে স্থির, তাঁর জীবনেও থাকে শৃঙ্খলা ও প্রশান্তি।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, “সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত প্রতিষ্ঠা কর এবং ফজরের কুরআন পাঠও (অর্থাৎ ফজরের নামাজ)। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন পাঠে সাক্ষী থাকে। আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর এটি তোমার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে মাকামে মাহমুদে (সর্বোচ্চ প্রশংসিত স্থানে) প্রতিষ্ঠিত করবেন।” (সূরা বনী ইসরাইল: আয়াত ৭৮-৭৯)।
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানবজীবনের প্রতিটি সময়কে নামাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। সূর্য হেলে পড়া থেকে শুরু করে রাতের গভীর অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ আদায়ের নির্দেশে রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের ভারসাম্য, শৃঙ্খলা ও আল্লাহভীতির শিক্ষা । যোহর, আসর, মাগরিব ও এশা নামাজ মানুষকে সময়ের মূল্য শেখায়, কর্মে একাগ্রতা আনে এবং মনকে করে পবিত্র ও প্রশান্ত। নামাজ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের মানসিক প্রশান্তি, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক স্বাস্থ্যেরও এক মহৌষধ।
সূরা বনী ইসরাইলের এই দুটি আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় নামাজ শুধু ইবাদত নয়, বরং জীবনের প্রতিটি স্তরে আল্লাহমুখী মন, সুস্থ দেহ ও সুশৃঙ্খল জীবনের ভিত্তি। ফজরের কুরআন পাঠ থেকে রাতের তাহাজ্জুদ পর্যন্ত প্রতিটি ইবাদত মানুষকে আল্লাহর প্রিয় বানায়, আত্মাকে করে পবিত্র, এবং জীবনকে করে সুন্দর ও অর্থবহ।