তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সাধরণ নয় বরং তা হত্যাকাণ্ড-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Category: ফোকাস Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সাধারণ নয় বরং তা হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যে মৃত্যু হবার কথা নয় তামাক ব্যবহারের কারণে সে ধরণের মৃত্যু ঘটছে আর এ ধরণের মৃত্যু মূলত হত্যাকাণ্ড। আমরা জেনেশুনে এ হত্যাগুলো করতে দিচ্ছি।

উপদেষ্টা আজ বিকালে সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত "তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অগ্রগতি ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে চিকিৎসকদের সম্পৃক্ততা"-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সুস্থ্য জাতি গঠনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তিনি আরও বলেন, তামাকের ক্ষতি সম্পর্কে আমরা জানলেও কেউই মেনে চলিনা। তাই তামাক সেবন বন্ধে উৎপাদন থেকে শুরু বিক্রি পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, তামাকের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে আর পরিবেশের অংশ হিসেবে তামাক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বক্তারা বলেন, কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার হ্রাস করা সম্ভব যা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। দেশে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনই পারে তামাকের ব্যবহার হ্রাস করে তামাকজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ফজিলা-তুন-নেসা মালিকের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মসূচি পরিচালক) শেখ মোমেনা মনি, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মোঃ আখতারউজ-জামান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, অ্যান্টি টোব্যাকো অ্যাডভোকেসি বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের মেম্বার সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন। সেমিনারে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মরত অর্ধ-শতাধিক ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত ছিলেন।