এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মো রফিকুল ইসলাম বলেছেন সরিষা-বোরো- রোপা আমন শস্যবিন্যাস জনপ্রিয় ও লাভজনক করতে হলে অঞ্চল অনুযায়ী ধান ও অন্যান্য ফসলের জাত নির্বাচন করতে হবে। কৃষির সার্বিক উন্নয়নে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন। কৃষিকে লাভজনক করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীগণ।
সে লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস্ বিভাগ প্রচলিত দ্বি-ফসলী শস্যবিন্যাসে রবি মওসুমে সরিষা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তিন ফসলী শস্যবিন্যাসে রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। উক্ত কার্যক্রমের আওতায় সর্বমোট ৩০ বিঘা জমিতে আমন ধান কর্তনের পরে রবি মওসুমে বারি সরিষা-১৪ এবং বারি সরিষা-১৭ চাষ করা হয়েছে। সরিষা কর্তনের পর একই জমিতে বোরো মওসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ব্রি ধান১০০, ব্রি ধান১০৫ এবং ব্রি ধান১০৭ চাষ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাজীপুরের সহযোগিতায় ব্রি'র রাইস ফার্মিং সিস্টেমস্ বিভাগের উদ্যোগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামে এক মাঠদিবস অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে স্থানীয় ১৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম। ব্রি'র রাইস ফার্মিং সিস্টেমস্ বিভাগের প্রধান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ড. মো. ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খায়রুল কায়েস ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথি গাজীপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সদ্য উদ্ভাবিত জাতগুলো দ্রুত মাঠ পর্যায়ে ছড়ায়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কার্যক্রমের আওতাভূক্ত কৃষক আবুল বাশার বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধান চাষ করে একই জীবনকালে তারা আগের তুলনায় বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন ধান বেশি ফলন পেয়েছে। আমন ও বোরোর মাঝে সরিষা চাষের মাধ্যমে বিঘা প্রতি ৫ মন সরিষা পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে তারা দৈনন্দিন তেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রয়ও করতে পারছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন ড. রোমিও ল্যাবিওস, ইন্টারন্যাশনাল এগ্রোনোমিস্ট এবং ফার্মিং সিস্টেম স্পেশালিস্ট,আঞ্চলিক কার্যালয়, এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিক,খাদ্য ও কৃষি সংস্থা,থাইল্যান্ড; ড. মো. মনিরুল ইসলাম, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট; কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আদিল বাদশাহ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবিএম জামিউল ইসলাম, রাইস ফার্মিং সিস্টেমস্ বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাসনিমা হুসনা, তাফসীন আরাফ প্রমুখ।